সবকিছুর আগে জিম্বাবুয়েকে অভিনন্দন জানানো যাক। এরকম হাসি তাঁদের সবসময় থাকে না। এরকম জয় তাঁরা সব দিন পায় না। তাঁরাই জানে, এসব কতটা কাঙ্ক্ষিত! শন উইলিয়ামস, ক্রেইগ আরভিন, ব্রেন্ডন টেইলরকে ছাড়া দারুণ এক জয়।
আজকে বাংলাদেশের বোলিং একটু আলগা ছিল। ফিল্ডিং বেশ গা-ছাড়া ছিল। তার পরও, এরকম ব্যাটিং উইকেটে ১৬৭ তাড়া করা উচিত ছিল।
আমার মনে হয়, ‘ইন্টেন্ট’ দেখানো কিংবা ‘পজিটিভ থাকা’, এই ব্যাপারগুলোর অর্থ আমাদের দল অনেক সময় ঠিকভাবে বুঝতে পারে না। ‘ইন্টেন্ট’ মানেই বলে-বলে চার-ছক্কা মারতে চাওয়া নয়, তেড়েফুঁড়ে শট খেলা নয়।
আজকে প্রয়োজন ছিল স্মার্ট ব্যাটিং। হারারে স্পোর্টস ক্লাবের মাঠ অনেক বড়। আমাদের তো পেশি শক্তির ব্যাটসম্যান নেই! এই যে এতগুলো ব্যাটসম্যান উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট, সীমানায় ক্যাচ – এগুলো স্রেফ এই কারণেই।
বড় মাঠ মানে সেখানে গ্যাপও অনেক। গায়ের জোর খাটানোর চেয়ে স্মার্ট ব্যাটিং করা, প্রয়োজনে কিছু ইম্প্রোভাইজ করা, এসব প্রয়োজন ছিল। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ঠিক যেমন হয়েছিল। আজকে ওপেনিং ভালো না হলেও সেই পরিকল্পনাতেই থাকা যেত। ১৬৭ তাড়া করতে হতো, ১৯০ বা ২০০ নয়।
সাকিব আউট হওয়ার পরপরই রিয়াদ অমন শট খেললেন, রিয়াদ আউট হওয়ার ওভারেই মেহেদী হাসানও একই চেষ্টা করলেন, সোহান কবজির মোচড়ে দারুণ বাউন্ডারির পরের বলেই ডাউন দ্য উইকেটে উড়িয়ে মারতে গেলেন। এসব চোখে লেগেছে। স্মার্ট ভাবনা নয় এগুলো।
এই ব্যাটিং লাইন আপে লিটন-মুশফিক যোগ হবে সামনের সময়গুলোয়। তবে পেশি শক্তির কেউ তো নেই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমাদের প্রাথমিক পর্বের খেলা সম্ভবত ওমানে হবে। ওখানে মাঠের আকার জানি না। রের ধাপে আবু ধাবি-দুবাইয়ে খেলা, দুই মাঠই বেশ বড়। শারজাহ অবশ্য ছোট মাঠ, তার পরও, স্মার্ট ব্যাটিংই ভরসা। এটিকেই অভ্যাসে পরিণত করতে হবে।
এই হারে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। টি-টোয়েন্টিতে আমরা আহামরি এমনিতেই নই। তবে মেহেদীকে তিনে খেলানো, সোহান-শামিমদের সুযোগ দেওয়া, এই প্রসেসগুলো চালু রাখতে হবে। বিশ্বকাপের আগে এতগুলি যে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ, এসবে নিজেদের সুরটা খুঁজতে হবে, বিশ্বকাপে গিয়ে যেন অন্তত কিছুটা মধুর হয়ে বেজে ওঠে।
শামিমের ফিল্ডিং-ব্যাটিং-বোলিং, তার মানসিকতা, উপযোগীতা, সবকিছু নিয়েই গত কয়েক মাসে অনেক বলেছি। কিছুটা ঝলক দুই ম্যাচে দেখা গেছে। নতুন করে কিছু বলার নেই। দেখতে থাকি আপাতত।