সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শামিম হোসেন পাটোয়ারি যখন ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন তার আগেই ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছিল বাংলাদেশ। শেষের দিকে তাই প্রত্যাশিত ঝড় তুলেও দলকে জেতাতে পারেননি তিনি। বৃথা গিয়েছিল তাঁর ১৩ বলে ২৯ রানের ছোট্ট ঝড়।
আজ যখন তিনি ব্যাটিংয়ে নামেন তখন দলের প্রয়োজন ছিল ২৬ বলে ৪৪ রান। প্রতিপক্ষ যেই হোক নি:সন্দেহে কঠিন এক চ্যালেঞ্জ।
আর ক্যারিয়ারের মাত্র দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা শামিমের জন্য চ্যালেঞ্জটা ছিল আরো বড়। তবে আজ আর ভুল করেননি এই ব্যাটসম্যান। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে শেষ সময়ের দাবি মিটিয়েছেন তিনি। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৫ বলে ৩১ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে ঠাণ্ডা মাথায় দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন অনূর্ধ্ব- ১৯ বিশ্বকাপ জয়ী এই তরুণ।
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় এই ব্যাটসম্যান জানিয়েছেন তাঁর ভিতর ম্যাচ শেষ করার একটা ক্ষুদা ছিল। যে ক্ষুদা তৈরি হয়েছিল আগের ম্যাচের ব্যর্থতায়। তাই আজ ম্যাচ শেষ করতে পেরে দারুণ খুশি তিনি।
শামিম বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে ভালো লাগছে যে গত ম্যাচটা আমি শেষ করতে পারি নাই। আমার ভিতর একটা ক্ষুধা ছিল আমি যদি পরের ম্যাচে সুযোগ পাই তাহলে ম্যাচ শেষ করার। আমি শেষ করতে পেরেছি। অনেক ভালো লাগছে। এই সিরিজ দিয়ে অভিষেক হয়েছে। আমরা সিরিজ জিতেছি। আমার জন্য ভালো হয়েছে। দলের জন্যও ভালো হয়েছে।’
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সাথে শামিমের ৩৭ রানের জুটিতেই ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নেয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অধিনায়ক তখন তাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন ওভারে অন্তত দশ রান করে নিতে। তবে দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে জেতালেও শামিমের কাছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কঠিন মনে হচ্ছে। ম্যাচ শেষে তিনি জানিয়েছেন প্রসেস মেইনটেইন করে খেলে সফল হয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘রিয়াদ ভাই আমাকে বলেছিল ওভারে দশ রান আসলেই হয়ে যাবে। আমিও আমার প্রসেস মেইনটেইন করে খেলেছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অনেক কঠিন। এতো দিন অনূর্ধধ-১৯ দলে খেলেছি। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন খেলেছি তার থেকে অনেক আলাদা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খারাপ বল কম পাওয়া যায়। প্রায় সময়েই ভালো বল আসে। আর ভালো বল গুলোতেই হিট করতে হয়, বাউন্ডারি মারতে হয়। প্রসেস মেইনটেইন করে খেলতে হয়।’
জানিয়ে রাখা ভালো, সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচ সেরা ও সিরিজ সেরা হয়েছেন সৌম্য সরকার।