রান তাড়ায় সংকট নেই!

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার হুমড়ি খেয়ে ভেঙে পড়লেও দলের রান তাড়া করার সামর্থ্য নিয়ে সন্দেহ নেই ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্সের। তিনি মনে করেন দলের কম্বিনেশন ঠিকই আছে। উইকেটের সাথে মানিয়ে নিয়ে ব্যাটিং করতে পারলেই সফল হবেন ব্যাটসম্যানরা।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে মাত্র ১২৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭৬ রানে অলআউট হয়ে ৫২ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এমন বিপর্যয়ের পরেও দল নিয়ে চিন্তিত নন বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি জানিয়েছেন ব্যাটসম্যানদের কম্বিনেশনটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর সেটা ঠিকই আছে।

প্রিন্স বলেন, ‘জিম্বাবুয়েতে আমরা বড় লক্ষ্য তাড়া করেছি। অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও আফিফ এবং সোহান রান তাড়া করতে নেমে নিজেদের প্রমাণ করেছে। ব্যাটসম্যানদের কম্বিনেশনটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয় আমাদের কম্বিনেশন ভালোই আছে। আমাদের সব ধরণের খেলোয়াড় আছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রতিটা ম্যাচের উইকেট ভিন্ন। তাই উইকেট বুঝে মানিয়ে নিতে হবে।

মিরপুরের মন্থর ও টার্নিং উইকেটে এখনো বড় কোন ইনিংস খেলতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। এই উইকেটে গত আটটি টি-টোয়েন্টিতে হাফ সেঞ্চুরি হয়েছে মাত্র তিনটি। তিনটি হাফ সেঞ্চুরি হলেও কোনটিই আবার টি-টোয়েন্টি মেজাজের ছিলো না। প্রতিটা ম্যাচেই ধুঁকেছেন ব্যাটসম্যানরা। এখনো বড় স্কোর পর্যন্ত করতে পারেনি কোন দল।

এই আট ম্যাচে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ছিলো ১৪১ রান। একশোর নিচে অলআউট হয়েছিলো তিন দলই। প্রিন্স জানিয়েছেন এটা দ্রুত রান তোলার উইকেটে নয়। এখানে খুব বেশি বাউন্ডারিও হবে না। তাই তিনি পরামর্শ দিয়েছেন এই উইকেটে রানরেট ছয়ের উপরে রাখতে স্টাইক রোটেট করে খেলার।

তিনি বলেন, ‘দলে স্টাইক রোটেট করতে পারে এমন ক্রিকেটার যেমন আছে, তেমনি বাউন্ডারি মারতে পারে এমন ক্রিকেটারও আছে। যারা শেষের দিকে ওভার প্রতি নয় দশ রান করে প্রয়োজন হলেও সে ভাবে ব্যাট করতে পারে।
এটা দ্রুত রান তোলার উইকেট নয়। এই উইকেটে খুব বেশি বাউন্ডারি হবে না। তাই স্টাইক রোটেট করে রানরেট ছয়ের উপরে রাখতে হবে।

গত ম্যাচে ১২৯ রান তাড়া করতে নেমে নাঈম শেখ ও লিটন দাসের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল বাংলাদেশ। দুই ওপেনার দুই ওভারেই ২৩ রান তুলে ফেলেছিলেন। কিন্তু এরপর অতিরিক্ত আগ্রাসী হতে গিয়েই দ্রুত উইকেট হারায় বাংলাদেশ। প্রিন্স জানিয়েছেন বাউন্ডারি মারার চেষ্টা না করে শান্ত থেকে স্টাইক রোটেট করে খেললেই সফল হতো বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, আমরা একটা ভালো শুরু পেয়েছিলাম। নাঈম এবং লিটন পাঁচটি বাউন্ডারি মেরেছিলো। আমারা দুই ওভারে ২০ এর মতো রান তুলেছিলাম। আমরা রানরেটের চেয়ে এগিয়ে ছিলাম। কিন্তু পরের তিন চার ওভারে আমরা আগ্রাসী হয়ে খুব দ্রুত উইকেট হারিয়েছি। আমরা শান্ত থাকলেই সহজেই রান তাড়া করতে পারতাম।

জানিয়ে রাখা ভালো, আগামীকাল সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল। ম্যাচটি শুরু হবে যথারীত বিকাল চারটায়। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link