সাবেক পেসার সাজিদুল ইসলাম সাজিদ। সর্বশেষ টেস্ট তিনি খেলেছেন ২০১৩ সালে। এমনকি চলতি বছরেও তিনি খেলেছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটও। এর মধ্যেই অন্য একটা পরিচয়ে যাত্রা শুরু হয়ে গেল তাঁর। আম্পায়ার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ছেন তিনি। তাঁর শুরুটাও হয়ে গেল বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
সাবেক ক্রিকেটার ও আম্পায়ার এনামুল হক মনির পর দ্বিতীয় টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে আম্পায়ারিং শুরু করলেন তিনি। সেটাও মাত্র ৩৪ ছুঁইছুঁই বয়সে। সতীর্থদের প্রায় সবাই এখনও খেলছেন প্রতিযোগীতামূলক ক্রিকেটে। তাঁর চেয়ে বয়সে অনেক বড়রা এখনও খেলছেন জাতীয় দলেও। অথচ, সাজিদ একটু আগামই ভবিষ্যতের জীবনে প্রবেশ করে ফেললেন।
বুধবার শেখ কামাল অনূর্ধ্ব ১৮ ক্রিকেট প্রতিযোগীতায় বিকেএসপিতে মুখোমুখি হয় সিলেট ও বরিশাল অনূর্ধ্ব ১৮ দল। সেই ম্যাচ দিয়ে প্রথমবারের মত কোনো স্বীকৃত ক্রিকেটে আম্পায়ার হিসেবে যাত্রা শুরু করলেন সাজিদ। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০০৮ সালে অভিষেক হয় সাজিদের। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাঁর পথচলাটা সুবিধাজনক নয়। ২০০৮ থেকে ২০১৩ – এই পাঁচ বছরে খেলেছেন মাত্র তিন টেস্ট। উইকেট নিয়েছেন তিনটি। অন্যদিকে একটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলে ছিলেন উইকেটশূন্য।
তবে, ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর ক্যারিয়ার বেশ সমৃদ্ধ। ৯৯ টি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলে এই বামহাতি পেসার পেয়েছেন ২৪১ টি উইকেট। ৫৫ টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলে পেয়েছেন ৬৭ টি উইকেট। সেই ২০০৫ থেকে, মানে প্রায় ১৬ বছর যাবৎ তিনি বাংলাদেশে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছেন।