সাহসী পন্থায় পথ খুঁজছে আফগানিস্তান

রাষ্ট্র হিসেবে আফগানিস্তানকে বরাবরই সংকটজনক অবস্থানে থাকতে হয়। বর্তমান সময়টাও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে তাঁর প্রভাব ক্রিকেট মাঠে পড়তে দিতে চান না অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সাহসী ক্রিকেটের পথ দিয়েই দেশকে সঠিক পথে ফেরাতে চান নবী।

সাম্প্রতি সময়ে আফগানিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নানরকম খবরের জন্ম দিয়েছে। এমননি আফগানিস্তানের আসন্ন টি-টোয়েন্ট বিশ্বকাপে খেলা নিয়েও অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত সব শঙ্কা দূর করে তাঁরা বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে।

এই সমস্য গুলোর ভিতরই রশিদ খানকে অধিনায়ক করে আফগানিস্তান বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করে। কিন্তু দল ঘোষণার পরই এই তারকা লেগ স্পিনার আফগানিস্তানের অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ান। এরপর সাবেক অধিনায়ক নবীকে আবার অধিনায়ক হওয়ার প্রস্তাব দিলে তিনি সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে অধিনায়কত্ব গ্রহণ করেন এবং কিছু সমস্য দূর করেন।

প্রধান সমস্য ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা নিয়ে। যার কারণে আফগানিস্তান সময় মত সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসতেও পারেনি। তাঁরা কাতারে অনুশীলন করেছে। তবে নবী জানিয়েছেন আরব আমিরাতে পরে গেলেও দেড় মাস প্রস্তুতি নিয়েছে দল। তিনি মনে করেন. তাঁর দলের এখন দারুণ পারফরম করার সম্ভাবনা আছে।

এ প্রসঙ্গে নবী বলেন, ‘গত দেড় মাস ধরে দলটি প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাঁরা এখন সম্ভবনাময়ী। ভিসা নিয়ে একটু সমস্য হওয়ান কারণে দলটি আরব আমিরাতে দ্রুত আসতে পারেনি। তাঁরা কাতারে অনুশীলন করছিল।’

তবে পুরো দল সংযুক্ত আরব আমিরাতে পরে গেলেও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলার কারণে অনেক আগে থেকেই সেখানে ছিলেন নবী ও রশিদ। দু’জনই সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে আইপিএলে খেলেছেন।

বিশ্বকাপের আগে অধিনায়ক পরিবর্তন হওয়া আফগানিস্তানের জন্য নতুন কিছু নয়। ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগেও আসগর আফগানকে বরখান্ত করা হয়েছিল এবং গুলবাদিন নায়েবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ওয়ানডে বিশ্বকাপে আফগানিস্তান নয়টি ম্যাচেই হেরেছিল। তবে ২০১৮-২০১৯ সালে আফগানিস্তান ১২ টি টি-টোয়েন্টি জিতেছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link