বাটলার একাই একশ

এক জশ বাটলারের যেন ম্যাচের কলকাঠি নাড়লেন। আর তাঁর ব্যাটিং দাপটে অস্ট্রেলিয়াকে আট উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকেট প্রায় নিশ্চিত ইংলিশদের। টানা তিন জয়ে নিজেদের গ্রুপে পয়েন্টস টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে ইংল্যান্ড।

১২৬ রানের মামুলি লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে দুই ইংলিশ ওপেনার জশ বাটলার ও জেসন রয়। জশ বাটলারের ব্যাটিং তাণ্ডবে পাওয়ারপ্লেতেই ৬৬ রান তুলে ইংলিশরা! যা কিনা চলতি টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত পাওয়ারপ্লেতে সর্বোচ্চ স্কোর। এরপর ৬৬ রানেই ব্যক্তিগত ২২ রানে অ্যাডাম জাম্পার বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে আউট হন রয়।

একপ্রান্তে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ২৫ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন বাটলার। চলতি আসরে টুর্নামেন্টের দ্রুততম ফিফটির মালিকও বনে যান তিনি। ফিফটি করলেও একপ্রান্তে তান্ডব চালাতে থাকেন বাটলার। এরপর দলীয় ৯৭ রানে ডেভিড মালান ফেরেন ব্যক্তিগত ৮ রানে।

জশ বাটলার আর জনি বেয়ারস্টোর তান্ডবে শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট ও ৮.২ ওভার বাকি থাকতে সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংলিশরা।

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মোটেও ভালো শুরু করতে পারেনি অজিরা। ক্রিস ওকসের দাপটে শুরুতেই ধসে পড়ে অজি টপ অর্ডার। মাত্র ২১ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ইংলিশ বোলারদের দাপটের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং শিবির। ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভেন স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টোয়িনিসরা ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে।

একপ্রান্তে তখনো ঠায় দাঁড়িয়ে অ্যারন ফিঞ্চ। পঞ্চম উইকেটে অধিনায়ক ফিঞ্চের সাথে সঙ্গি হন ম্যাথু ওয়েড। মেরামত করতে লেগে পড়েন ভঙ্গুর ব্যাটিং শিবির। দুজনে মিলে গড়েন ৩০ রানের জুটি। এরপর লিভিংস্টোনের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন ওয়েড। ৫১ রানে ৫ উইকেট নেই অজিদের! সুযোগ পাওয়া অ্যাশটন অ্যাগারকে নিয়ে আবারো ভীত গড়ার চেষ্টায় মত্ত ফিঞ্চ।

ষষ্ঠ উইকেটে দু’জনে মিলে গড়লেন ৩৬ বলে ৪৭ রানের জুটি! এরপর দলীয় ৯৮ রানে ২ ছক্কা ২০ রানে ফিরেন অ্যাগার। একপ্রান্তে দাড়িয়ে সতীর্থদের যাওয়া আসার মিছিল দেখছিলেন ফিঞ্চ। এরপর দলীয় ১১০ রানে ব্যক্তিগত ৪৯ বলে ৪৪ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস শেষে আউট হন ফিঞ্চ। তবে প্যাট কামিন্সের দুই বলে দুই ছক্কা আর মিচেল স্টার্কের ৬ বলে ১৩ রানের ক্যামিওতে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৫ রানে থামে অজিদের ইনিংস।

দলের পক্ষে ফিঞ্চ সর্বোচ্চ ৪৪ ও অ্যাগার করেন ২০ রান। ইংলিশদের পক্ষে ক্রিস জর্ডান সর্বোচ্চ তিন ও ক্রিস ওকস, টাইমাল মিলসরা শিকার করেন দু’টি করে উইকেট।

  • সংক্ষিপ্ত স্কোর

অস্ট্রেলিয়া – ১২৫/১০ (২০ ওভার); ফিঞ্চ ৪৪(৪৯), অ্যাগার ২০(২০), ওয়েড ১৮(১৮), কামিন্স ১২(৩); ক্রিস জর্ডান ৪-০-১৭-৩, ওকস ৪-০-১৭-২ ও টাইমাল মিলস ৪-০-৪৫-২।

ইংল্যান্ড – ১২৬/২ (১২.৪ ওভার); বাটলার ৭১ (৩২)* বেয়ারস্টো ১৬(১১)*, রয় ২২(২০), মালান ৮(৮)
অ্যাগার ২.৪-০-১৫-১, জাম্পা ৩-০-৩৭-১।

ফলাফল: ইংল্যান্ড ৮ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচ সেরা: জশ বাটলার (ইংল্যান্ড)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link