‘আমরা বাজে ব্যাটিং করেছি’

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬ উইকেটের হারে টুর্নামেন্ট থেকে এবার কাগজে কলমেই ছিটকে গেছে বাংলাদেশ দল। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে যেনো নূন্যতম প্রতিরোধটুকও গড়তে পারেনি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রাবাদা, নর্কের দাপটে মাত্র ৮৬ রানেই গুড়িয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে তাসকিনের দাপুটে বোলিংয়ে কিছুটা লড়াই করলেও ৬ উইকেটের সহজ জয় পায় প্রোটিয়ারা।

জয়ের পর নিজেদের পারফরম্যান্সে বেশ উচ্ছ্বসিত প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা জানান, ‘ আমাদের জন্য একটা ভালো দিন। কন্ডিশন পেসারদের ভালো সাহায্য করেছে। বোলিংয়ে ভালো করার পর ব্যাট হাতেও আমার মনে হয় আমরা ভালো খেলেছি। রাবাদা ও নরকের বোলিং আমাদেরকে ভীত গড়ে দিয়েছে, আমার মনে হয়েছে আমরা ঘরের মাঠেই খেলছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘তাদের দু’জনকে দলে পেয়ে সত্যি উচ্ছ্বসিত আমরা। একজন নিয়মিত ১৫০ গতিতে বল করতে পারে, আরেকজনের সেই অ্যাবিলিটি আছে অনেক গতিতে বল করার। আমরা চেয়েছিলাম যত দ্রুত জয় পাওয়া যায়। এটা খুব কঠিন ছিলো রান বের করাটা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিগ ম্যাচ আছে! আমাদেরকে নিজেদের সেরাটা দিতে হবে।’

অপরদিকে টানা চার হারে বিধ্বস্থ বাংলাদেশ শিবির। নিজেদের বাজে পারফরম্যান্স নিয়ে বলার খুব বেশি কিছু নেই অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কাছেও। জানালেন হতাশার মাঝেও তাসকিনের অসাধারণ বোলিং দলের প্রাপ্তি।

মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘আমি মনে করি প্রথমে বল করার জন্য উইকেট বেশ ভালো ছিলো। আমরা বাজে ব্যাটিং করেছি। তাসকিন অসাধারণ বোলিং করেছে। তাসকিন-ফিজের মধ্যে আমরা একজনকে বিবেচনা করেছিলাম, সেখানে তাসকিনকেই এগিয়ে রেখেছিলাম।’

বাংলাদেশের টপ অর্ডার একাই ধসিয়ে দেওয়া ম্যাচ সেরা কাগিসো রাবাদা মনে করেন অনুশীলন আর পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে পারায় সফল হয়েছেন তিনি। আইপিএলে খেলায় কন্ডিশন পরিচিত হওয়ায় সুবিধেও পেয়েছেন বেশ।

রাবাদা বলেন, ‘উইকেট পেস সহায়ক ছিলো। আমি শুধু নিশ্চিত করেছি যে এটা আমার দিন। আমরা যখনি অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছি, আমরা চেষ্টা করেছি সেভাবে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করার যেটা আমাদের জন্য ভালো হয়। আমরা সবসময়ই সেরাটা দেই অনুশীলনে সেটার ফলই পেলাম। স্যুইং দেখেও ভালো লাগছে, বিশেষকরে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে! এখানে বেশ কিছু আইপিএল ম্যাচ খেলায় দেখেছি শুরুর দিকে বলে বেশ মুভমেন্ট থাকে।’

রাবাদা আরো বলেন, ‘এই উইকেটে এমন সুবিধা পাওয়াটা অবাক হওয়ার কিছু নেই, প্রায় দীর্ঘদিন ধরেই পেসাররা এখানে সুবিধা পাচ্ছে। আমরা দুবাইতে এক ম্যাচ খেলেছি, আমি যেটা বুঝতে পেরেছি সেখানের তুলনায় এখানে একটু বাউন্স আছে। কিছু বল স্কিডও করছে। নর্কে লম্বা সময় ধরেই ভালো করছে, তার সাথে জুটি বেঁধে বল করাটা আমার জন্যও ভালো লাগার ব্যাপার।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link