মাত্র ৬ রানের জন্য সেঞ্চুরি করতে পারেননি ডেভিড ওয়ার্নার। সেই আক্ষেপটা থাকবেই। তবে, সেই আক্ষেপে পুড়তে হয়নি ট্রাভিস হেডকে। হয়নি বলেই লাইম লাইটটাও ব্রিসবেনে তাঁর একার ওপরই।
ট্রেভিড হেডের দাপুটে সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় দিনশেষে গ্যাবা টেস্টে ব্যাকফুটে ইংলিশরা। হেডের হার না মানা সেঞ্চুরি আর ওয়ার্নার-লাবুশেনের জোড়া ফিফটিতে দ্বিতীয় দিনশেষে ১৯৬ রানে এগিয়ে আছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দল।
আগের দিন ইংল্যান্ডের ১৪৭ রানে অল আউট হওয়ার পর জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। শুরুতেই মাত্র ১০ রানে মার্কাস হ্যারিসকে তুলে নেন ওলি রবিনসন। হ্যারিস ফিরেন মাত্র ৩ রানে। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে মার্নাশ লাবুশেনকে নিয়ে জুটি বাধেন ডেভিড ওয়ার্নার।
দলীয় ৩০ রানেই বেন স্টোকসের বলে বোল্ড হন ওয়ার্নার। তবে নো বলের কারণে বেঁচে যান তিনি। এরপর দলীয় ১১৪ রানে স্লিপে ররি বার্নস ক্যাচ মিস করলে আরেকটি সুযোগ পান ওয়ার্নার। এরপর দু’জনে মিলে ১৫৬ রানের জুটির পথে টপকে যায় ইংল্যান্ডের রান। দু’জনেই তুলে নেন ব্যক্তিগত ফিফটি।
দলীয় ১৬৬ রানে জ্যাক লিচের বলে ব্যক্তিগত ৭৪ রানে আউট হন লাবুশেন। ধীরে ধীরে সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছিলেন ওয়ার্নার। এরপর বেশ দ্রুতই ফিরেন স্টিভ স্মিথও! স্মিথ করেন মাত্র ১২ রান। স্মিথের পরই রবিনসনের অসাধারণ এক ডেলিভারিতে ব্যক্তিগত ৯৪ রানে আউট ওয়ার্নার! সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৬ রান দূরে থাকতে ফিরেন তিনি। পরের বলেই রবিনসনের দারুন এক ইনস্যুইংয়ে গোল্ডেন ডাকে আউট ক্রিস গ্রিন!
১৬৬ রানে ১ উইকেটে থেকে ১৯৫ রানেই নেই অজিদের ৫ উইকেট। ৬ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারায় অজিরা। এরপর অভিষিক্ত অ্যালেক্স ক্যারি ও ট্রেভিস হেড ষষ্ঠ উইকেটে ৪১ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ২৩৬ রানে ক্রিস ওকসের শর্ট বল পুল করতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেটে ধরা পড়েন ক্যারি!
অভিষেক ইনিংসে করেন মাত্র ১২ রান। একপ্রান্তে ট্রেভিড হেড দ্রুত গতিতে রান তুলে করেন ব্যক্তিগত পঞ্চাশ। এরপর প্যাট কামিন্স কিছু সময় ভীত গড়লেও ব্যক্তিগত ১২ রানে কামিন্স ফিরলেও হেডের দাপট চলতে থাকে। ৮৫ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন হেড। দিনশেষে ৭ উইকেটে ৩৪৩ রান সংগ্রহ করেছে অজিরা।
১১২ রানে হেড ও ১০ রানে অপরাজিত আছেন মিশেল স্টার্ক। প্রথম ইনিংসে ১৯৬ রানে এগিয়ে আছে অজিরা। ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি পাওয়ার দিনে ১২ টি চার ও দুটি ছক্ক হাঁকান হেড।
- সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস: ইংল্যান্ড
ইংল্যান্ড (প্রথম ইনিংস) – ১৪৭/১০ (৫০.১ ওভার); বাটলার ৩৯(৫৮), পোপ ৩৫(৭৯), হাসিব ২৫(৭৫); কামিন্স ১৩.১-৩-৩৮-৫, স্টার্ক ১২-২-৩৫-২, হ্যাজেলউড ১৩-৪-৪২-২।
অস্ট্রেলিয়া (প্রথম ইনিংস) – ৩৪৩/৭ (৮৪ ওভার); হেড ১১২(৯৫),* ওয়ার্নার ৯৪(১৭৬)*, লাবুশেন ৭৪(১১৭); রবিনসন ১৮-৮-৪৮-৩, উড ২০-৪-৫৭-১, ওকস ২০-৭-৫৬-১।