পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) অবশেষে আসরের প্রথম জয়ের দেখা পেলো বাবর আজমের করাচি কিংস। টানা ৮ ম্যাচ হারের পর জয়ের দেখা পেয়েছে তাঁরা।
সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সিলেট সানরাইজার্স ১০ ম্যাচের একটিতে জিতেছে। আর টানা আট ম্যাচ হেরেছে। সবার মনে একটাই প্রশ্ন এত বেশি ম্যাচ কি আর কোন দল টানা হেরেছে?
হ্যাঁ হেরেছে! চলুন জেনে নেওয়া যাক টানা বেশি হারা দল গুলো সম্পর্কে।
- সিডনি থান্ডার – ১৯ ম্যাচ!
টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট গুলোতে কোন দলের টানা জয়ের দেখা না পাওয়ার রেকর্ড কত জানেন? উত্তর হলো- ১৯ ম্যাচ! যা সিডনি থান্ডারের দখলে।
২০১১/১২ মৌসুমে থানডার আসরের প্রথম ২ ম্যাচ জয় লাভ করে, পরের ৫ ম্যাচ হেরেছে। সে ধারা অব্যাহত ছিল ১২/১৩ সিজনে, সে আসরের ৮ ম্যাচের সব কটিতে হেরেছে। ১৩/১৪ সিজনের প্রথম ৬ ম্যাচও হেরেছিল, অবশেষে ৭ম ম্যাচে এসে হারের ধারা ভাঙে তারা.. সবাইকে চমকে দিয়ে সে থান্ডার ২০১৫/১৬ আসরের শিরোপা জিতে নেয়।
- সেট লুসিয়া জুকস- ১৪ ম্যাচ
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) দল সেন্ট লুসিয়া ২০১৬ আসরের এলিমিনেটরে ৫ উইকেটের ব্যবধানে হেরেছিল ত্রিনবাগোর কাছে। সেখান থেকে শুরু। পরের আসরে নাম বদলে জুকস জায়গায় লাগিয়েছিল স্টার। পরে তাঁরা আবার নাম পাল্টে কিংস হয়।
তবে তারার মতো জ্বলতে পারেনি। বরং অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল। আসরের ১০ ম্যাচের একটিও জিততে পারেনি তারা। ২০১৮ সিজনের প্রথম ৪ ম্যাচ হেরে টানা ১৪ হারের লজ্জার রেকর্ড করে। পরে অবশ্য এই আসরে ১০ ম্যাচে ৩ জয় পেয়েছিল।
- পুনে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়া- ১১ ম্যাচ
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) দল পুনে ওয়ারিয়র্স ২০১২ আইপিএল মৌসুম শুরু করেছিল জয়ে দিয়ে। তৃতীয় ম্যাচ হারলেও চতুর্থ ম্যাচ আবারো জয় লাভ করে। প্রথম ৭ ম্যাচের ৪টিতে জয় ছিল ওয়ারিয়র্সদের। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন ঘটে। পরের ৯ ম্যাচ টানা হেরেছে। ২০১৩ মৌসুমের শুরু ২ ম্যাচ হেরে টানা ১১ ম্যাচ হারার রেকর্ড করে। আইপিএল ইতিহাসে যা কোন দলের একনাগাড়ে সর্বোচ্চ হারের রেকর্ড!
পরবর্তী ১৪ ম্যাচের মাত্র ৪টিতে জয়ের মুখ দেখেছিল তারা। ২০১৫ আইপিএলে ফ্র্যাঞ্জাইজিটি আইপিএলে থেকে নাম।প্রত্যাহার করে নেয়।
- দিল্লী ডেয়ারডেভিলস- ১১ ম্যাচ
গত দুই আসরে পুনে ওয়ারিয়র্সের করা রেকর্ডে ভাগ বসায় দিল্লি ডেয়ারডেবিলস, যা বর্তমানে দিল্লি ক্যাপিটালস। আইপিএলে ইতিহাসে তারা তাদের সেরা সাফল্য পেয়েছে ২০২০ আইপিএলে। যেখানে প্রথম বারের মতো ফাইনাল খেলে তারা। কিন্তু মুম্বাইয়ের কাছে হেরে শিরোপা হাত ছাড়া করে। এরপর ২০২১ সালে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলেও দুই প্লে অফে টানা হারে তারা। আইপিএলে তাদের প্রথম দুই আসর ২০০৮ ও ২০০৯ সালে সেমিফাইনাল খেলেছিল দিল্লী।
তবে ২০১৪ সালে দলটির ছন্দপতন ঘটে। প্রথম ৫ ম্যাচে ২ জয় তুলে নিলেও পরের পরের ৯ ম্যাচে পরাজয় এড়াতে পারেনি। ২০১৫ আইপিএলের প্রথম ২ ম্যাচ হেরে পুনে ওয়ারিয়র্সের পাশে নাম লেখায় ফ্র্যাঞ্জাইজিটি! ২০১৫ মৌসুমের ১৪ ম্যাচের ৫টিতে জয় পেয়েছিল।
- অ্যান্টিগা হকসবিলস- ১০ ম্যাচ
সিপিএলের দল অ্যান্টিগা হকসবিল তাদের সংক্ষিপ লিগ ইতিহাসের ১৬ ম্যাচের মাত্র ৩টিতে জয়ের দেখে পেয়েছিল। ২০১৩ সালে তাদের সিপিএল অভিষেক। সে আসরে প্রথম ৫ ম্যাচে ২ জয়ের পর সে মৌসুমের বাকি ২ ম্যাচ ও ‘১৪ মৌসুমের প্রথম ৮ ম্যাচ টানা হেরে মধ্যে থাকে তারা। বাকি এক ম্যাচ অবশ্য জিতেছিল।
যদিও এই পরিসংখ্যান পূর্ণাঙ্গ নয়। ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট ও নিউজিল্যান্ডের সুপার স্ম্যাশ বাদ পড়েছে।