এশিয়া কাপ যতই ঘনিয়ে আসছে মিরপুরের ‘হোম অব ক্রিকেট’-এ ক্রিকেটারদের আনাগোনা যেন ততই বাড়ছে। এখনকার শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রতিটা দিনই যেন চূড়ান্ত কর্মমূখর।
এশিয়া কাপ হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের। সেই আসর সামনে রেখে দল ঘোষণাও হয়ে গেছে। দলের সদস্যদের এখন নিত্যদিনের ঠিকানা মিরপুর। টি-টোয়েন্টি দলের বাইরের ক্রিকেটারদের উপস্থিতিও কম নয়। কারণ, নিজেদের ফিট রাখতে এই মিরপুরই তো ভরসা।
এই ক্রিকেটারদের মধ্যে, যথারীতি সবচেয়ে পরিশ্রমী মুশফিকুর রহিম। দীর্ঘদিন পর টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পাওয়া মুশফিকের জন্য এবারের এশিয়া কাপটা বাড়তি একটা চ্যালেঞ্জ। সেজন্য তিনি অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে সিরিয়াস।
অনুশীলনে তিনি সতীর্থদের সাহায্যও পাচ্ছেন। এই যেমন আজ এগিয়ে এলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মুশফিক তখন মিরপুরের সেন্টার উইকেটেরে নেটে ব্যাটিং অনুশীলন করছিলেন। বোলিং মেশিন থেকে একের পর এক বল আসছিল, মুশফিক সাজোরে ব্যাট চালাচ্ছিলেন।
মুশফিকের নন স্ট্রাইকিং এন্ডে ব্যাট-প্যাড পরে অপেক্ষমান ছিলেন মিরাজ। এই সময়টা মুশফিককে কার্যকর একটা সহায়তাই করলেন তিনি। বিপরীত পাশ থেকে মুশফিকের ব্যাটিং অনুশীলন ভিডিও করছিলেন মিরাজ। ভিডিও ধারণ করে তিনি বারবার দেখাচ্ছিলেন মুশফিককে। খেলা ৭১-এর ক্যামেরায় ধরা পড়ে এই ঘটনা।
ঠিক কেন মুশফিকের ‘ভিডিওগ্রাফার’ ভূমিকা পালন করলেন মিরাজ? আসলে এটা খুবই কমন টেকনিক। ভিডিও দেখে ব্যাটিংয়ের অনেক খুঁটিনাটি ভুলই বোঝা যায়, যেটা আসলে ব্যাটিং করে বোঝা সম্ভব নয়।
যদিও, মুশফিক ভুল আদৌ কতটা শুধরাতে পারলেন সেটা বোঝা গেল না। এই সময়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মুশফিকের পুরনো দিনের ভুল গুলো শুধরে ফেলা অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে জরুরী।
ওয়ানডেতে লম্বা সময় ধরে চার নম্বরে ব্যাট করছেন মুশফিক। টি-টোয়েন্টিতেও তাই। তবে, ওয়ানডেতে তিনি যেখানে বিশ্বসেরা, টি-টোয়েন্টিতে একদমই সাদামাটা। এবার অবশ্য পছন্দের চার নম্বর পজিশনটাও সম্ভবত হারাতে চলেছেন টি-টোয়েন্টিতে।
ইতোমধ্যে ইনফর্ম ব্যাটার আফিফ হোসেনকে মিডল অর্ডারের মূল দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, মুশফিকের প্রিয় চার নম্বর পজিশনে ব্যাট করবেন এই তরুণ। কিন্তু তাহলে মুশফিকের কি হবে, তাকে কোন পজিশনে দেখা যাবে। টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রের খবব হল, এশিয়া কাপে মুশফিককে দেখা যেতে পারে ওপেনার হিসেবে।
স্কোয়াডে এমনিতেই লিটন দাসের ইনজুরি ও মুনিম শাহরিয়ারের অফ ফর্মের কারণে মাত্র দুই ওপেনার দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে একজন এনামুল হক বিজয়, যিনি টি-টোয়েন্টিতে একদমই ফর্মে নেই। অন্যদিকে আছেন পারভেজ হোসেন ইমন, যার অভিজ্ঞতা মাত্র এক টি-টোয়েন্টির। ফলে, মুশফিক ইনিংসের উদ্বোধন করতে নামলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
ওপেনার হিসেবে মুশফিক অবশ্য একদম নতুন কেউ নন। এর আগে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে একটি করে ম্যাচে ওপেন করেন মুশফিক। তবে, তিনি যেই পজিশনেই খেলুন – টি-টোয়েন্টির সাথে ব্যাটিংটাও যেন মানানসই হয়।