দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় দিয়েই তাঁদের সেমির স্বপ্নকে জিইয়ে রাখা সম্ভব ছিল। জয় পেয়েছে পাকিস্তান। সেই সাথে পাকিস্তান শিবির এবং ভক্তরাও হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো যেন কিছুটা।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন পাকিস্তানের অলরাউন্ডার শাদাব খান। কেবল ব্যাট হাতে নয়, বল হাতেও ছিলেন অনবদ্য। দলের প্রয়োজনে যেন নিজের কাঁধেই দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলিং সাইড দক্ষিণ আফ্রিকার। সেই বোলিংকে মোকাবেলা করেই মাত্র ২২ বলেই করেছেন ৫২ রান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে শাদাবের এটি প্রথম অর্ধশতক। তিন চার এবং চার ছক্কায় সাজিয়েছিলেন ইনিংসটি।
পাশাপাশি বল হাতেও দলের জয়ে দারুণ অবদান রেখেছেন এই অলরাউন্ডার। মাত্র দুই ওভার বোলিং করেই ১৬ রান ব্যয় করে তুলে নেন প্রোটিয়াদের দুইটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। পাকিস্তান দলটি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৩ রানে জয়লাভ করে। আর ম্যাচসেরা খেলোয়াড়ের পুরষ্কার যায় শাদাব খানের ঝুলিতে।
নিজের ইনিংস প্রসঙ্গে এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমি পিএসএলের মতো করে এখানেও খেলেছি (ব্যাট করেছি)। কিন্তু এটি যেহেতু একটি বিশ্বকাপ মঞ্চ, তাই এটি আমার জীবনের সেরা ইনিংস। পার্থের তুলনায় এখানে পিচটা একটু মন্থর ছিল। আমি স্টাম্প বরাবর বোলিং করার চেষ্টা করেছি, এবং ফল পেয়েছি। আমি সাধারণত আরো উপরের দিকে ব্যাট করতে পছন্দ করি। তবে পরিস্থিতি এবং দলের প্রয়োজনের উপর বিষয়টি নির্ভর করবে। সুতরাং আমি যে কোনও জায়গায় ব্যাট করতে প্রস্তুত।’
শাদাব তাঁর পারফর্মেন্স দিয়ে প্রমাণ করলেন কেন তাঁকে পাকিসাস্তানের ‘মিস্টার টি-টোয়েন্টি’ বলা হয়! জাতীয় দলের পাশাপাশি পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে দেখা যায় এই ক্রিকেটারকে। পিএসএলের দুর্দান্ত পারফর্মেন্স এর প্রতিফলন ঘটিয়েছেন বিশ্বকাপের মঞ্চেও। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং – তিন বিভাগেই দলের জন্য দারুণ কার্যকরী শাদাব খান।
আন্তর্জাতিক টি টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাকিস্তানের হয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম সময়ে অর্ধশতক করা ক্রিকেটারের রেকর্ডটিও নিজের নামের পাশে লিখিয়েছেন। এই জায়গা থেকে সরিয়ে দিয়েছেন উমার আকমলের নাম। এই অর্ধশতকটি তুলে নিতে শাদাবের লেগেছে বিশটি বল।
পাকিস্তানের হয়ে দ্রুতগতিতে অর্ধশতক করার রেকর্ডটি রয়েছে শোয়েব মালিকের নামে। তাঁরপরেই অবস্থান করছেন শাদাব খান। আজকের ম্যাচের নায়ক বনে যাওয়া শাদাব খান, বাকী ম্যাচগুলোতেও এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাইবেন।