ইউরোপের দেশগুলোতে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ধীরে-ধীরে কমে আসছে। তবে, ঠিক এর বিপরীত চিত্র বাংলাদেশে। ক্রমেই যেন অবস্থার অবনতি হতে চলেছে। তাই বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তায় নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বাড়াতে ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করছেন উইলিয়ামসন। তার সাথে আরও আছেন, হেনরি নিকোলস-সোফি ডিভাইন ও ড্যানি কার্টার। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সাথে আলাপকালে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ইউনিসেফের দূত উইলিয়ামসন।
উইলিয়ামসন বলেন, ‘সম্প্রতি জুম অ্যাপের মাধ্যমে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপ হয়েছে আমার। এরপর আমি বুঝতে পারি, বাংলাদেশের পরিস্থিতি কতটা কঠিন অবস্থায় আছে। বাংলাদেশের মতো জনবহুল একটি দেশে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে, এমন ভয়াবহ ভাইরাসকে দূরে রাখা খুবই কঠিন কাজ।’
ক্রিকেটের কারণে জাতীয় দলের হয়ে বহুবার বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন উইলিয়ামসন। কন্ডিশনের কারনে বাংলাদেশ সফরের অভিজ্ঞতা মোটেও সুখকর নয় কিউই অধিনায়কের। সেই অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেন উইলিয়ামসন, ‘বাংলাদেশের কন্ডিশন মোটেও ভালো নয়। আমি সেখানকার গরম এবং আর্দ্রতার কথা কখনো ভুলব না। আমি যখন প্রথম বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিলাম তখন গরম ও আর্দ্রতার অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার। সেখান কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেয়ার জন্য সেটি ছিলো ক্ষুদ্র সতর্কবার্তা।’
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়দের সাথে আলোচনা করেছেন উইলিয়ামসন। স্বাস্থ্যবিধি নিরাপদের থাকার পরামর্শও দেন তিনি, ‘ক্রিকেট আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আমি বিভিন্ন দেশের যাবার সুযোগ পেয়েছি। বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষের সাথে বন্ধুত্ব হয়েছে। করোনার পরিস্থিতিতে আমি অনেক ক্রিকেটারের সাথে কথা বলেছি। তাঁদের দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ করেছি। তাদেরকে সর্তক থাকার পরামর্শও দিয়েছি। কিন্তু বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা কঠিনই বটে।’
গেল মাসে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবালের ফেসবুক লাইভ আড্ডায় এসেছিলেন উইলিয়ামসন। ঐ সময়ও তামিমের সাথে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন উইলিয়ামসন।