সাদা পোশাকে স্মরণীয় জয়

জয়ের সংখ্যাও যতটা হওয়ার উচিৎ ছিল, ততটা হয়নি। যদিও, এর মধ্যে কিছু সোনালী দিন এসেছে সাদা পোশাকে, যার জন্য বাংলাদেশ গর্বিত হতেই পারে।

টেস্ট আঙিনায় বাংলাদেশ ২০ বছর কাটিয়ে ফেলেছে। সেই অর্থে সময়টাকে স্বর্ণালী বলা যাবে না। কারণ, এই লম্বা সময়েও ক্রিকেটের এলিট ক্লাবে নিজেদের বড় শক্তি হিসেবে প্রমাণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। জয়ের সংখ্যাও যতটা হওয়ার উচিৎ ছিল, ততটা হয়নি। যদিও, এর মধ্যে কিছু সোনালী দিন এসেছে সাদা পোশাকে, সেসব নিয়েই আমাদের এবারের আয়োজন।

  • প্রথম জয়

চট্টগ্রামে ২০০৫ সালে প্রথমবারের মত টেস্টে জয় আসে। প্রতিপক্ষ ছিল জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে চার হাফ সেঞ্চুরির সৌজন্যে ৪৮৮ রানের পাহাড় গড়ে। অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন ৯৬, রাজিন সালেহ ৮৯, মোহাম্মদ রফিক ৬৯ ও নাফিস ইকবাল ৫৬ রান করেন।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ১৫৪ রানের লিড নেয়। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস শেষে জিম্বাবুয়ের সামনে ৩৮১ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড়ায়। জিম্বাবুয়ে এনামুল হক জুনিয়রের স্পিন ঘূর্ণীর সামনে দাঁড়াতেই পারে না। অল আউট হয় ১৫৪ রানে। বাংলাদেশ জিতে ২২৬ রানের ব্যবধানে।

  • বিদেশের মাটিতে উত্থান

২০০৯ সাল – সেটা ওয়েস্ট ইন্ডিজে জন্য কঠিন সময় ছিল। খেলোয়াড়-বোর্ড টানাপোড়েনে মাঠে নামে দ্বিতীয় সারির একটা দল। বাংলাদেশের জন্যও সহজ ছিল না। প্রথম টেস্ট জিতলেও ইনজুরি নিয়ে মাঠের বাইরে লম্বা সময়ের জন্য ছিটকে যান নতুন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।

ফলে, সেন্ট জর্জের দ্বিতীয় টেস্টটা বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জই ছিল। তাতে চতুর্থ ইনিংসে, চতুর্থ দিনে ২১৫ রানের লক্ষ্য পায় সফরকারীরা। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্টের বাজিমাৎ করেন সাকিব। তাঁর অপরাজিত ৯৬ রানের ইনিংসে নিশ্চিত হয় চার উইকেট ব্যবধানের জয়। হোয়াইট ওয়াশ হয় উইন্ডিজ।

  • দৈত্য বধের সূচনা

২০১৬ সালে প্রথম টেস্টটায় অল্পের জন্য হারে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের সেই ভুলটা ঢাকায় করেনি স্বাগতিকরা। জয়ের জন্য চতুর্থ ইনিংসে ইংল্যান্ডের লক্ষ্য ছিল ২৭২। ইংল্যান্ড বিনা উইকেটে ১০০ রান তুলে ফেললেও এরপরই শুরু হয় ছন্দপতন। আর মাত্র ৬৪ রান তুলতেই অলআউট হয়ে যায় অ্যালিস্টেয়ার কুকের দল। ম্যাচ সেরা মেহেদী হাসান মিরাজের ১২ উইকেট আর তামিম ইকবালেরর জরুরী এক সেঞ্চুরিতে আসে ১০৮ রানের বড় জয়।

  • রঙ লাগলো মাইলফলকে

কলম্বোতে ২০১৭ সালের সেই ম্যাচটা ছিল বাংলাদেশের শততম টেস্ট। গলে প্রথম টেস্টটায় হারে বাংলাদেশ। কলম্বো টেস্টের আগে হানা দেয় ইনজুরি। উইকেটও ছিল শক্ত। এর মধ্যেও সাকিব আল হাসান প্রথম ইনিংসে করেন ১১৬ রান। আর রান তাড়া করতে নেমে তামিম ইকবাল করেন ৮২ রান। চার উইকেটের জয় দিয়ে শততম ম্যাচের মাইলফলকটা রাঙিয়ে দেয় বাংলাদেশ।

  • এবার অস্ট্রেলিয়া

তারকাবহুল এক অস্ট্রেলিয়া দল সেবার হার মেনেছিল বাংলাদেশের স্পিন ত্রয়ীর বিপক্ষ। প্রথম ইনিংসে ২৬০ করা বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়াকে  অলআউট করে ২১৭ রানে। পায় ৪৩ রানের জরুরী এক লিড। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ২২১ রান করে। অস্ট্রেলিয়ার সামনে ২৬৪ রানের বড় টার্গেট দাঁড়ায় চতুর্থ ইনিংসে। অস্ট্রেলিয়া শেষ অবধি ২০ রানে হারে। তামিম দুই ইনিংসেই হাফ সেঞ্চুরি (৭১ ও ৭৮) করেন। আর ম্যাচে ১০ উইকেট ও প্রথম ইনিংসে ৮৪ রানের ইনিংস খেলার সুবাদে ম্যাচ সেরা হন সাকিব।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...