কেরালায় অনুষ্ঠিত শেষ ওয়ানডেতে বিরাট কোহলির অপরাজিত ১৬৬ রানের ইনিংসে সুনীল গাভাস্কার বিশেষভাবে মুগ্ধ হয়েছেন। একই সাথে তিনি স্বয়ং অধিনায়ক রোহিত শর্মার সাথেও তুলনা টেনেছেন বিরাটের।
২০২৩ সালটা বিরাট কোহলি তাঁর সেরা ফ্যাশনে শুরু করেছেন। নিজের আসল চেহারাটা দেখাতে শুরু করেছেন। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভারতের ৩-০ হোয়াইটওয়াশে বড় ভূমিকা রেখেছেন, দুটি বড় সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। ভারতের সাবেক অধিনায়ক সুনীল গাভস্কার কোহলির অপরাজিত ১৬৬ রানের ইনিংসটার পর তাঁকে প্রশংসার বানে ভাসিয়েছেন।
কোহলি তাঁর ৪৪ তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি দিয়ে বছরটি শেষ করেছিলেন । আর ৪৫ তম এবং ৪৬ তম সেঞ্চুরি করেন তিন ম্যাচের মধ্যে। সময় কত দ্রুত বদলে যায়। একটি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরির জন্য ক’দিন আগেই হন্যে হয়ে ছিলেন কোহলি। সেখানে এখন তিনি চার ম্যাচে তিন সেঞ্চুরি পেয়ে গেলেন। ফেরার গানটা তাঁর চেয়ে ভাল গাইতে আর কেই বা পারেন।
এদিকে নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির টি- টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে একটু দূরেই আছেন। বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) বরং তরুণদের প্রাধান্য দিচ্ছে। গত নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে, দুজনই ভারতের দুটি টি- টোয়েন্টি সিরিজ মিস করেছেন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর কোহলি ও রোহিত নিউজিল্যান্ড সফরে অনুপস্থিত ছিলেন। এবং অন্য কয়েকজন খেলোয়াড়কেও বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল চাপ কমানোর অংশ হিসেবে। বাংলাদেশের বিপক্ষে চোট পাওয়া রোহিত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ছিলেন না। ছিলেন না রোহিতও। এখন ভারতের মাটিতে চলমান নিউজিল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও নেই এই দু’জন।
নতুন নির্বাচক কমিটি নতুন খেলোয়াড়দেরকে আরও সুযোগ দিতে চায় । আর এজন্য কোহলি এবং রোহিতকে বিশ্রামের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে তাঁরা অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জন্য নিজেদেরে ফিট রাখতে পারবেন। ফেব্রুয়ারিতে আসবে অস্ট্রেলিয়া। সেখানে এই দুই গ্রেটকে দরকার হবে ভারতের। এরপর ওয়ানডে বিশ্বকাপও আছে। আর দেশের মাটিতে হওয়ায় সেখানে সবচেয়ে বড় ফেবারিটও তো ভারতই।
তাই গাভাস্কার মনে করছেন রোহিত, বিরাটদের টি-টোয়েন্টি সফর এখানেই শেষ নয়। তিনি বলেন, ‘পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আগামী বছর ২০২৪ সালে আয়োজিত হবে। আমার মনে হয় নির্বাচকরা তরুণ খেলোয়াড়দেরই বেশি করে সুযোগ দিতে চাইছেন। এর মানে কিন্তু এটা নয় যে রোহিত, কোহলিকে আর কোনোদিন এই ফর্ম্যাটে নির্বাচনের জন্য বিবেচনাই করা হবে না। ওরা গোটা ২০২৩ সাল জুড়ে ভাল পারফর্ম করলে তো ওদের দলে রাখতেই হবে।’
গাভাস্কার মনে করছেন, আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে বিরাট, রোহিতকে হয়তো কিছুটা বিশ্রামই দিতে চেয়েছিলেন, তাই জন্যই তাঁদের নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের স্কোয়াডে রাখা হয়নি।
তিনি বলেন, ‘সামনেই তো অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ খেলতে নামবে ভারতীয় দল। সেই সিরিজের আগে হয়তো নির্বাচকরা ওঁদের (বিরাট, রোহিতকে) বিশ্রাম দিতে চেয়েছেন যাতে এই বড় সিরিজে ওরা নতুন করে শুরুটা করতে পারে। তাতে আখেরে কিন্তু ভারতেরই লাভ হবে।’