দুর্বিষহ এক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন দানি আলভেজ। মাত্র ২ মাসেরও কম সময় আগে বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে নেতৃত্ব দেয়া আলভেজ এখন ধর্ষণের দায়ে জেল খাটছেন। গত ৩১ ডিসেম্বর স্পেনের একটি নাইট ক্লাবের বাথরুমে এক নারীকে ধর্ষণ করেন।
প্রেপ্তারের পর আলভেজকে কাতালুনিয়ার একটি কারাগারে রাখা হয়েছে। তিনবার ভিন্ন রকমের তিনটি জবানবন্দি দিয়ে ইতোমধ্যেই আরো চাপে আছেন আলভেজ। এবার তিনি এই মাললা লড়তে নিয়োগ দিয়েছেন বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের জন্য কাজ করা এক আইনজীবীকে।
কারাবন্দী হবার পর থেকেই কারো সাথে কোনো কথা বলছেন না আলভেজ। কারাগারে কাটানো প্রতিটা দিনই কারো সাথে কথা না বলে কাটিয়ে দিচ্ছেন তিনি। এমনকি পরিবারের কারো সাথেও দেখা করছেন না। শুক্রবার কারাবন্দী হবার পর জামিনের আবেদনও প্রত্যাখ্যাত হয়েছে আলভেজের।
২৩ বছর বয়সী ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই নারীর জবানবন্দিতে ইতোমধ্যেই সেদিন রাতের ঘটনার বর্ণনা উঠে এসেছে। এছাড়াও ওই নাইট ক্লাবের সিকিউরিটি ক্যামেরায়ও আলভেজের ধর্ষণের প্রমাণ মিলছে। এরপর তিনবার তিনরকম জবানবন্দি দিয়েছেন আলভেজ।
প্রথম জবানবন্দিতে ওই নারীকে চেনেন না বলে জানালেও পরেরটিতে তিনি বলেন, সেই নারীকে চিনলেও তেমন কিছুই সেদিন হয়নি। এরপর সর্বশেষ জবানবন্দিতে আলভেজ জানান, ওই নারীই ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন আলভেজের ওপর।
এমন জটিল পরিস্থিতিতে আলভেজের পক্ষে বিবাদী হয়ে মামলা লড়ছিলেন মিরাইদা পুয়েন্তে নামক একজন আইনজীবী। তবে এবার পুয়েন্তের সাথে কাজ করার জন্য নিজের সাবেক ক্লাব বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের জন্য কাজ করা আইনজীবী ক্রিস্তোবাল মার্টেলকে নিয়োগ দিয়েছেন আলভেজ।
মার্টেল বেশ পরিচিত নাম স্প্যানিশ ফুটবলে। সান্তোস থেকে বার্সেলোনায় নেইমারের দলবদলের গুরুত্বপূর্ণ মামলাটি বার্সেলোনার হয়ে লড়েছিলেন এই মার্টেল। এছাড়াও মেসিদের বিভিন্ন আইন সংক্রান্ত বিষয়াদি দেখভাল করতেন এই আইনজীবী।