বিপিলের আগের আসর গুলোতে সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজির পারফর্মেন্স খুব একটা সুখকর ছিল না। দলটি কখনোই দর্শকদের মন জয় করে নিতে পারেনি। তবে এবার মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বে সিলেট যেন অন্য এক রূপকথা লিখছে। এখন পর্যন্ত বিপিএলের সবচেয়ে সফল জয়। সিলেট স্ট্রাইকার্সের এমন পারফর্মেন্স মন কেড়েছে সবার।
তাইতো এবার সিলেটের দর্শকদের মাঝে কাজ করছিল বাড়তি উত্তেজনা। বিপিএল সিলেটে যেতেই টিকিট কাউন্টারে দেখা গিয়েছে দর্শকদের উপচে পড়া ভীর। কেননা ঘরের মাঠে মাশরাফিদের খেলা মিস করতে চাননি তাঁরা।
তবে সিলেটে খেলতে নেমেই আবার হতাশ করলো দলটা। দর্শকদের উপহার দিল একরাশ আক্ষেপ। এত এত দর্শকের সামনে আগে ব্যাট করতে নেমেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। তবে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে তাঁদের ব্যাটিং লাইন আপ তছনছ হয়ে যায়।
সিলেট স্ট্রাইকার্স মাত্র ১৮ রানেই হারিয়ে ফেলে ৭ উইকেট। সিলেটের প্রথম সাত ব্যাটসম্যানের কেউই দুই অংকের স্কোর গড়তে পারেনি। তবে শেষ পর্যন্ত তানজিম হাসান সাকিব ও মাশরাফি বিন মর্তুজা জুটি গড়ে দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন। তানজিম সাকিব ৩৬ বল থেকে খেলেন ৪১ রানের ইনিংস। আর মাশরাফি ২১ বল থেকে করেছেন ২১।
এই দুজনের ইনিংসেই সর্বনিন্ম স্কোরের লজ্জা পাওয়া থেকে বেঁচে যায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার খেলে ৯২ রান করতে পেরেছিল দলটা। তবে রংপুরের বিপক্ষে এই স্কোর জেতার জন্য যথেষ্ট ছিল না। রংপুরের হয়ে আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও হাসান মাহমুদ নিয়েছিলেন তিনটি করে উইকেট।
ওদিকে ৯৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ধীরে সুস্থেই নিজেদের ইনিংস শুরু করে রংপুর রাইডার্স। সিলেটের উইকেটে তাঁদের জন্যও রান করাটা কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। তবে রংপুরের হয়ে একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন রনি তালুকদার।
অপরপ্রান্তে মোহাম্মদ নাঈম শেখ, শেখ মেহেদী কিংবা শোয়েব মালিকরা বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন রনি তালুকদার। শেষ পর্যন্ত ৯৩ রানের লক্ষ্য সহজেই পেড়িয়ে যায় রংপুর রাইডার্স।
দলকে জয়ের বন্দরে পৌছে তবেই মাঠ ছেড়েছেন রনি তালুকদার। প্রায় চার ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে যায় রংপুর। আর রনি শেষ পর্যন্ত খেলেছেন ৩৮ বলে ৪১ রানের ইনিংস। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ২ টি চার ও ২ টি ছয়। ফলে ঘরের মাঠে সিলেট স্ট্রাইকার্সের যাত্রাটা সুখকর হল না।