জমে উঠেছে এবারের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। তবে লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকার লড়াইটা হচ্ছে মূলত আর্সেনাল ও ম্যানচেস্টার সিটির মধ্যে। তবে এই লড়াইয়ের মাঝে একটা চাপা সমালোচনার জবাব জোর গলায় দিয়ে গেলেন হ্যারি কেন। টটেনহ্যাম হটস্পার্সের এই অধিনায়ক এখন স্পার্সের ইতিহাসের অংশ।
একটা ধারণার সাথে লড়াই করতে হয়েছিল কেনকে। একটি মৌসুমেই তিনি হারিয়ে যাবেন এমন বেশ কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন বহু ফুটবল বোদ্ধারা। তবে সে সবকে ভুল প্রমাণ করে দিব্যি স্পার্স এবং ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে মাঠ মাতিয়ে যাচ্ছেন কেন। নিন্দুকদের সকল তিরস্কারের জবাবটা তিনি কড়া ভাবেই দিচ্ছেন।
এবার ৫৩ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গলেন ইংলিশ এই স্ট্রাইকার্স। ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে লিগ পর্বের ম্যাচে ১-০ গোলের জয় পায় স্পার্সরা। সেই একটি মাত্র গোলটি আসে কেনের পা থেকে। আর তাতেই স্পার্সের সর্বকালের সেরা গোলদাতা বনে যান হ্যারি কেন। দীর্ঘ ৫৩ বছর ধরে এই রেকর্ডের মালিক ছিলেন স্পার্স কিংবদন্তি জিমি গ্রিভস।
স্পার্সের হয়ে সব ধরণের প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্ট মিলিয়ে ২৭৬ টা গোল রয়েছে এখন কেনের নামের পাশে। দীর্ঘ প্রায় পাঁচ দশক ধরে ধুলোবালি পড়ে যাওয়া রেকর্ডটি দমকা বাতাসে একেবারে নতুন করে দিলেন কেন। ঠিক এভাবেই নিন্দা আর নেতিবাচকতার জবাব দিতে হয়। কেন সেটা ভাল করেই জানেন।
এই রেকর্ড ছাড়াও, এদিন আরও একটি রেকর্ড গড়েন কেন। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে তিনি এখন তৃতীয় খেলোয়াড়। কেননা ম্যান সিটির বিপক্ষে করা গোলের সুবাদে তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে প্রিমিয়ার লিগে ২০০ গোল করবার রেকর্ডটিও স্পর্শ করেন কেন। তাঁর উপরে রয়েছেন কেবল ওয়েন রুনি ও অ্যালান শেরার।
নিউক্যাসেল ইউনাটেডের হয়ে ২৬০ বার জালের ঠিকানা খুঁজে নিয়েছিলেন শেরার। অন্যদিকে, ওয়েন রুনি ছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রাণভোমরা। তিনি ২০৮ বার গোল করেছেন রেড ডেভিলদের হয়ে। এদেরকে ছাপিয়ে যাওয়ার সুযোগও থাকছে কেনের সামনে। কেন হয়ত একটা সময় প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা বনে যাবেন। তবে নিজেকে প্রমাণে ক্ষুধাটা প্রয়োজন।
আর সেই ক্ষুধার যে কমতি নেই তাঁর মাঝে সে প্রমাণ তিনি দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া একটি পোস্টে। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘ওয়ান সিজন ওয়ান্ডার’। মূলত তাঁকে নিয়ে হওয়া সমালোচনার বিরদ্ধে খানিকটা রসিকতাই করলেন কেন। সমালোচকদের আরও একদফা মনে করিয়ে দেন এক মৌসুমের আলোকরশ্মি নন তিনি। কেন পূব আকাশে উদিত হওয়া সূর্য।