১২৩ বছরের গৌরবোজ্জ্বল ফুটবল ইতিহাস বার্সেলোনার। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এই ক্লাবের হয়ে খেলেছেন ইয়োহান ক্রুইফ, ডিয়াগো ম্যারাডোনা, রিভালদো,রোনালদো, রোমারিও, রোনালদিনিয়োরা খেলেছেন এই নীল-মেরুন জার্সি গায়ে। এরপর বার্সার হয়ে খেলতে এলেন লিওনেল মেসি।
সাফল্যের বিচারে বার্সার ইতিহাসের সর্বকালের সেরা ফুটবলার মেসি, এ নিয়ে সন্দেহ করবেন হয়তো খুব কম লোকই। কিন্তু মেসির ভাই এবার হয়তো মেসির শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে একটু বাড়াবাড়িই করে ফেললেন। মেসির ভাই মাতিয়াস মেসি দাবী করে বসলেন, মেসি যোগ দেবার আগে কেউ চিনতো না বার্সেলোনা।
মাতিয়াস মেসির ছেলে টমি একটি স্ট্রিমিং ওয়েবসাইটে ফুটবল নিয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন নিজের বাবা ও অন্যদের সাথে। সেখানে মেসির সাবেক ক্লাব বার্সেলোনার প্রসঙ্গ উঠতেই কাতালানকে ক্লাবটিকে ধুয়ে দেন মাতিয়াস।
২০২১ সালে লা লিগার বেঁধে দেয়া বেতনসীমা নীতির কারণ দেখিয়ে মেসিকে বিক্রি করে দেয় বার্সেলোনা। তবে মেসিকে ভালোভাবে বিদায় দিতে পারেনি বার্সা এমনটাই মনে করেন মাতিয়াস। মাতিয়াস বলেন, ‘মেসির জন্যই সবার কাছে এতটা পরিচিতি পেয়েছে বার্সেলোনা। তার আগে তাদের কেউ চিনত না। বার্সেলোনায় গিয়ে কেউ জাদুঘর দেখে থাকলে দেখবেন সেটার পুরোটা মেসির।’
বার্সায় মেসির পুনরায় ফেরার প্রসঙ্গে বার্সেলোনা এবং বর্তমান সভাপতি হোয়ান লাপোর্তাকে রীতিমতো আক্রমণ করেন মাতিয়াস, ‘আমরা (মেসি) বার্সেলোনায় ফিরব না। আর যদি ফিরি তাহলে ভালোভাবে সবকিছু পরিষ্কার করেই ফিরব। তার মধ্যে হোয়ান লাপোর্তাকে লাথি মেরে বের করব, তার কৃতজ্ঞতা বোধ নেই মেসি বার্সাকে যা যা দিয়েছে, সেসবের জন্য।’
বার্সেলোনার সমর্থকদেরও ধুয়ে দিয়েছেন মাতিয়াস। তাঁদেরকে বিশ্বাসঘাতক বলে মনে করেন মাতিয়াস, ‘কেউ তাকে সাহায্য করেনি। ওদের (সমর্থক) উচিত ছিল রাস্তায় নেমে পড়া, লাপোর্তাকে বিদায় করে মেসিকে রেখে দেওয়া। কাতালানরা বিশ্বাসঘাতক। মা একবার লিওনেলকে বলেছিল, ওরা তোমাকে রোনালদিনিওর মতো ভোগাবে।’
তবে ভাইয়ের এমন বিতর্কিত বক্তব্যের সাথে একমত নন লিওনেল মেসি। এটি তাঁর ভাইয়ের একান্তই ব্যক্তিগত মতামত বলেও মনে করেন এই পিএসজি তারকা।
এমন বিষ্ফোরক মন্তব্যে রীতিমতো ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পরে সেই স্ট্রিমিং ভিডিও সরিয়ে নেন মাতিয়াস। নিজের ইন্সটাগ্রাম একাউন্ট থেকে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি। বার্সার মতো এমন ক্লাবকে নিয়ে এমন মন্তব্য করা উচিত হয়নি বলে বোধদয় হয়েছে মাতিয়াসের, ‘‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যা বলেছি, সে বিষয়ে আমি নিজের অবস্থার পরিষ্কার করতে চাই।
ছেলে এবং তার বন্ধুদের সঙ্গে মজা করেছি। বার্সার মতো এত বড় ক্লাবকে নিয়ে আমি কীভাবে এমন ভাবতে পারি, যারা লিও ও আমার পরিবারকে অনেক কিছুই দিয়েছে। কাতালুনিয়া আমাদের কাছে দ্বিতীয় ঘরের মতো। এটা সবাই জানে। আমি দুঃখিত ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি। বিশেষ করে বার্সার সমর্থকদের কাছে।’