পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ইংরেজিতে কথা বলা নিয়ে আলোচনা কিংবা বিদ্রুপ হয় হরহামেশাই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে চর্চাও হয় খুব। কিন্তু কদিন আগে পাকিস্তানের সাবেক কিংবদন্তি পেসার শোয়েব আক্তার নিজেই মন্তব্য করে বসেন নিজ দেশের সবচেয়ে বড় তারকা বাবর আজমের ইংরেজিতে কথা বলা নিয়ে।
‘ইংরেজিতে কথা বলতে না পারার কারণে বিরাট কোহলির মত গ্লোবাল ব্র্যান্ড হতে পারবে না বাবর’ এমন মন্তব্যও করে বসেন শোয়েব। রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেসের এমন বক্তব্য নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনাও হয়।
রেকর্ড কিংবা অর্জনে বয়সের বিচারে অনেকটাই এগিয়ে বাবর আজম। বিশ্ব ক্রিকেটেরই অন্যতম সেরা ব্যাটার এখন বাবর। গত বছরের আইসিসির সেরা ক্রিকেটারের স্বীকৃতিও জিতেছেন। কিন্তু ‘গ্লোবাল ব্র্যান্ড’ বলতে যা বোঝায় তা থেকে এখনো যেন ঢের পিছিয়ে বাবর।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ইংরেজি বলতে না পারা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন শোয়েব। ইংরেজিতে কথা বলার দক্ষতা না থাকার কারণেই বিরাট কোহলির মত বিশ্ব তারকা হতে পারবেন না বাবর এমনটাই মনে করেন তিনি।
শোয়েব বলেন, ‘আপনারাই দেখুন, দলে কোনো চরিত্র নেই। কথা বলার মত কেউ নেই। এমন পরিস্থিতিতে, ম্যাচ পরবর্তীতে উপস্থাপনার সময়ে এটি খুব বাজে দেখায়। ইংরেজি শেখা এবং কথা বলা কি এতটাই কঠিন? ক্রিকেট খেলা এক জিনিস আর প্রেস সামলানো আরেক জিনিস। আপনি যদি সঠিক ভাবে কথা বলতে না পারেন, তবে আপনি নিজেকে প্রকাশ করতে পারবেন না।’
ইংরেজি না জানার কারণেই বাবর পিছিয়ে আছেন বলে মনে করেন শোয়েব, ‘আমি সবার সামনে বলছি, বাবর আজমের পাকিস্তান ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড হওয়া উচিত। কিন্তু কেন ও এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড হয়ে উঠতে পারেনি? কারণ ও ইংরেজি জানে না। ওয়াসিম আকরাম ও শহিদ আফ্রিদি ওর চেয়ে বেশি স্বীকৃতি পাচ্ছে, কারণ ওদের বিজ্ঞাপনের ব্র্যান্ড রয়েছে এবং এটি তাদের ইংরেজির দক্ষতার কারণে।’
এমন বিতর্কিত মন্তব্যের পর এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনা কম হচ্ছে না। কিন্তু এরই মধ্যে পাকিস্তানের একটি টিভি চ্যানেলে একটি শো চলাকালীন শোয়েবের সাবেক সতীর্থ ও পাকিস্তানের বর্তমান নির্বাচক কামরান আকমলের ইংরেজি নিয়েও বিদ্রুপ করলেন শোয়েব।
সেই টিভি শো তে উপস্থিত ছিলেন কামরানও। প্রথমে খেলোয়াড় হিসেবে কামরান আকমলের প্রসংশা করলেও পরে কামরান একটি ইংরেজি শব্দের ভুল উচ্চারণ করায় তাকে নিয়ে বিদ্রুপ করে তাকে সরাসরি ভুল ধরিয়ে দেন শোয়েব।
সেই টি শোতে কামরানের ককমিউনিকেশন বা কথা বলার দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শোয়েব। লাইভ টি শোতে শোয়েবের এমন কান্ড দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বাবরের পর কামরানকে নিয়ে শোয়েবের এমন মন্তব্যে অবশ্য খুশি নন পাকিস্তানের নেটিজেনরা।