বিশ্বকাপ জেতার মৌসুমটা আরেকটু রঙিন হতেই পারতো। কিন্তু না। বিশ্বকাপের সাফল্য মেসি টেনে আনতে পারেননি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে। বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে ছিটকে গিয়েছেন শেষ ১৬ থেকেই।
যে আরাধ্য চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জয়ের জন্য পিএসজি এলএমটেনকে দলে ভিড়িয়েছিল তা এখন পর্যন্ত ব্যর্থতাতেই আটকে আছে। আর তাতে স্বাভাবিকভাবেই তির্যক সমালোচনার মুখে পড়েছেন মেসি। একই সাথে, পিএসজির সঙ্গে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের চুক্তি নবায়নের ব্যাপারটাও পড়ে গিয়েছে চরম অনিশ্চয়তায়।
বর্তমান চুক্তি অনুযায়ী চলতি মৌসুম শেষেই পিএসজি ছাড়ার কথা মেসির। যদিও প্যারিসের ক্লাবের সাথে আবারো চুক্তি নবায়ন করবেন বলেই এত দিন শোনা গিয়েছিল। কিন্তু মাস খানেকের মধ্যে সব কিছুই এলোমেলো হয়ে গেল। মেসি ভবিষ্যৎ গন্তব্য এখন অনেকটাই অনিশ্চিত।
তবে এরই মাঝে একটা গুজব তৈরি হয়েছে। এই মাসে সৌদি আরব সফরে যাচ্ছেন মেসি। আর এতেই নতুন করে একটা জল্পনাকল্পনা উঁকি দিচ্ছে। অবশ্য মেসির এই সফরের সাথে ফুটবলের কোনো সম্পর্ক নেই। সৌদি আরবের পর্যটন খাতের শুভেচ্ছাদূত মেসি। আর সে কারণেই সৌদি আরবে পরিবারসহ ভ্রমণ করবেন বিশ্বকাপ জয়ী তারকা।
আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস অবশ্য বলছে, ভবিষ্যৎ ঠিকানা হিসেবে মেসির প্রাধান্যে এখনো পিএসজিই আছে। সেটি না হলেও মেসি ইউরোপেই খেলার জন্য মুখিয়ে থাকবেন। এ ক্ষেত্রে বার্সা শিবিরে আবারো যুক্ত হতে পারেন মেসি। আর কোনো ক্লাবের সাথে আলোচনা ফলপ্রসু না যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে ইন্টার মায়ামিও হতে পারে মেসির গন্তব্য।
মেসির সৌদি আরবে খেলার সম্ভাবনা মূলত তীব্র হয় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর আল নাসরে যোগ দেওয়ার পর। কারণ এরপরেই আল নাসরের প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব আল হিল্লাল মেসিকে দলে ভেড়ানোর জন্য উঠেপড়ে লাগে। গুঞ্জন আছে, মেসিকে নাকি সাড়ে তিনশো মিলিয়নের প্রস্তাব পাঠিয়েছিল সৌদির এ ক্লাবটি। তবে শেষ পর্যন্ত, এমন খবর গুঞ্জনের মধ্যে থাকতেই মিলিয়ে গেছে।
যদিও, মেসির সৌদি সফরের পর পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায় সে সব কিছুর জন্যও নিশ্চিতভাবেই সবার আগ্রহ থাকবে তুঙ্গে। অবশ্য মেসির পরের ঠিকানা কোথায় হবে, তার জন্য আগামী জুন পর্যন্ত সবার অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।