বার্সেলোনার সর্বকালের সেরা ডিফেন্ডারের তালিকায়ও হয়তো থাকবে জেরার্ড পিকের নাম। তবুও প্রায় পুরো ক্যারিয়ার জুড়েই যে ক্লাবে খেলেছেন ক্যারিয়ারের শেষ দিকে সেই বার্সেলোনা ভক্তদের দুয়োধ্বনিও শুনতে হয়েছে পিকেকে।
সেই দুয়োধ্বনির যন্ত্রণাতেই কিনা মৌসুমের মাঝেই হুট করে ফুটবলকে বিদায় বলে দেন পিকে। বার্সার জন্য অন্তপ্রাণ সেই পিকেই কিনা এবার বললেন, তিনি একটুও মিস করেন না বার্সেলোনাকে।
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। এরপর থেকে ক্যারিয়ারের পুরোটাই কাটিয়ে দিয়েছেন ন্যু ক্যাম্পে। ১৪ বছর ধরে বার্সেলোনাকে জিতেয়েছেন অনেক অনেক শিরোপা। কার্লোস পুয়েলের সাথে রক্ষণভাগে তাঁর সেই বিখ্যাত জুটিকে বার্সা ভক্তরা মনে রাখবেন আজীবন। কিন্তু এত শত অর্জনের পরেও বার্সা থেকে বিদায়টা সুখকর হয়নি পিকের। শেষ কয়েক বছরের বার্সা ভক্তদের যেন চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছিলেন।
পিকের শিশুসুলভ কিছু ভুলে অনেক ম্যাচও হারতে হয়েছে কাতালানফের। অথচ ক্লাবের জন্য নিবেদিত প্রাণই ছিলেন পিকে। বার্সায় থাকার জন্য নিজের বেতনও একটা সময় কমিয়ে নেন এই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার।
কিন্তু স্প্যানিশ এক গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বার্সাকে নিয়ে রীতিমতো বিস্ফোরক মন্তব্যই করলেন পিকে। বার্সাকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে পিকে বলেন, ‘আমি মোটেও বার্সাকে মিস করি না। আমি খুব ভালো আছি ৷ আমার এখন আগের চেয়ে বেশি সময় আছে। সময় পেলে বার্সার খেলা দেখি। কিন্তু মোটেও তাদের মিস করি না আমি।’
হুট করেই ফুটবল থেকে পিকে অবসর নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। অবসরের ক্ষেত্রে অন্য কোনো কারণ কাজ করেছে কিনা সে নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই ভক্তদের।
অবসর নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে পিকে বলেন, ‘এটা আমার ঐচ্ছিক সিদ্ধান্ত ছিল। যদিও হুট করেই আমি সেই সিদ্ধান্ত নেই। আমি আমার অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে অনুশোচনা করি না।’
এক সময়ের পিকের সতীর্থ জাভি বার্সার কোচ হয়ে আসার পর থেকেই যেন নিজের শেষটা দেখে ফেলেছিলেন পিকে। প্রথম একাদশের চেয়ে সাইড বেঞ্চেই জায়গা হচ্ছিল বেশি। তরুণ ডিফেন্ডারদের ওপরই বেশি আস্থা রাখছিলেন কোচ জাভি। বেতনের বোঝা কমাতে বার্সাও পরের মৌসুমে দলে রাখতে চাইছিলোনা পিকেকে। তাই সব কিছু মিলিয়ে নিজেই অবসরের সিদ্ধান্ত নেন পিকে।
পিকে বলেন, ‘আমি বিভিন্ন কারণে ক্লাব ছেড়েছি। আমি আগেও বলে এসছি যখন আমি নিজের খেলা উপভোগ করতে পারব না এবং দলে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করব না তখন আমি ক্লাব ছেড়ে চলে যাব। পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে ক্লাবে নিজেকে যতটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করতাম, শেষের দিকে এসে ততটা করতে পারিনি। এটি আমাকে খারাপ অনুভূতি দিয়েছে।’