বোলারদের সারাজীবনই প্রায় ক্রিকেটে পিছনের সারিতে রাখা হয়। কিন্তু, যদি টেস্ট ক্রিকেটেই দেখি একটা দল যদি না বিপক্ষের ২০ টি উইকেট তুলতে না পারে তবে তাঁরা জয়ী হতে পারেনা (ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে এবং তা খুবই খুবই কম)।
ধরুন কোনো ম্যাচে যদি বোলাররা একটু সাহায্য পাচ্ছে কিন্তু একজন ব্যাটসম্যান একটু ভালো খেলে দিলো তাও একজন বোলার দু’ইনিংসে ভালো বল করেও ম্যাচের সেরা হয়না কখনো কখনো। অন্যদিকে ব্যাটিং সহায়ক পিচে কিছুটা ভালো করলেও দিনের শেষে ব্যাটিংকেই গুরুত্ব দেওয়া হয় (সবসময় যে এমন হয় তা বলিনি)। যাই হোক এতো কিছুর পরও বোলাররা নিজেদের সেরাটা দেন কখনো তাতে নিজে ও দল সফলতা পান, কখনো পান না।
রবিচন্দ্রন অশ্বিন – সব ফরম্যাট মেলালে গত দশকের সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন। তর্কাতিত ভাবে টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের অন্যতম সেরা ম্যাচ উইনার তথা বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার। কিন্তু সেই প্রাপ্য সম্মান কি তিনি কখনো পেয়েছেন?
অশ্বিনের নাম উঠলেই তাঁকে উপমহাদেশে তথা ঘরের মাঠেই শুধু সাফল্য পেয়েছেন একথা বলা হয়। অবশ্যই তাঁর উপমহাদেশে কিংবা ভারতের মাটিতে তার সাফল্য অসাধারণ। অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা ইংল্যান্ডের মাটিতে তেমন সাফল্য পাননি।
মাঝে অনেক কিছু চেষ্টা করেছেন তাতে সাফল্য এসেছে কখনো আসেনি, কিন্তু টেস্ট জেতার কথা ভাবলে আমরা বিরাট, পূজারা, রাহানে, ইশান্ত, সামিদের দিকে তাকিয়ে থাকি তেমনই অশ্বিনের উপরেও নির্ভর করে থাকি। সেরকম দেখলে ওইসব দেশের পেসাররাও তো উপমহাদেশে এসে সাফল্য পাননা। কিন্তু এতো কিছুর পরও ভারতীয় ক্রিকেটে তাঁর অবদান কিভাবে অমান্য করবে!
যাই হোক, ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট অবশ্য এখানে বেশ বাস্তববাদী। তাঁরা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও একাদশে রাখেনি অশ্বিনকে। ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি পরিকল্পনায় তিনি নিয়মিত নন অনেকদিন। তবে, যখনই সুযোগ পেয়েছেন নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। আইপিএলে তিন অসাধারণ ছিলেন, আছেন হয়তো থাকবেনও। আত্মবিশ্বাসটা তাই সব ফরম্যাটেই তাঁর আছে সব সময়।
সমালোচকরা তাদের মত বলবেই। কিন্তু আপনি রবিচন্দ্রন অশ্বিন আপনি নিজের কাজটি করবার সাথে সাথে এখনো বারবার নিজেকে প্রমাণ করতে থাকুন এটাই কামনা।