বিশ্বকাপে ফেবারিট নয় ভারত

দেশের পরিচিত কন্ডিশন কিংবা বিদেশের অচেনা কন্ডিশন, দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ভারতের দাপট চলছে তিন ফরম্যাটেই। কিন্তু সেই ভারতই কিনা খেই হারায় আইসিসি টুর্নামেন্ট এলে! ইংল্যান্ডে ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর কেটে গেছে এক দশক। কিন্তু মাহেন্দ্র সিং ধোনির সেই সর্বজয়ী ভারতের শিরোপা জয়ের পর আর কোনো আইসিসি ট্রফি আসেনি ভারতে। এবার ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপ নিয়ে ভারতের মানুষের আশার বেলুন তাই ফুলছে ক্রমশ।

ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ শিরোপার যে অন্যতম দাবীদার ভারত, তা নিয়ে সংশয় থাকার কথা নয় কারো। কিন্তু বিশ্বকাপের মাত্র মাস ছয়েক আগে অস্ট্রেলিয়ার কাছে সিরিজ হেরে বসেছে রোহিত শর্মার দল। অনেকের কাছেই ঘরের মাঠে ভারতই বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় ফেভারিট হলেও সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ভন অবশ্য তা মনে করেন না। সাদা বলের ক্রিকেটে ভারত ‘আন্ডার অ্যাচিভার’ বলেও মত এই সাবেক ইংলিশ ওপেনারের।

গত তিনটি বিশ্বকাপেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্বাগতিক দেশ। ২০১১ বিশ্বকাপে ভারত, ২০১৫ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার পর ২০১৯ বিশ্বকাপে ঘরের মাঠের শিরোপা জেতে ইংল্যান্ড। ৪ বছর পর ২০২৩ বিশ্বকাপেও অন্যতম ফেভারিট ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। গতবারের রানারআপ নিউজিল্যান্ডকেও হেলা করার উপায় নেই। আর বিশ্বকাপের বরাবরের ফেভারিট অস্ট্রেলিয়া তো আছেই। তার ওপর ভারতের মাটিতে ভারতকে সিরিজ হারিয়ে নিজেদের সামর্থ্যের জানান ইতোমধ্যেই দিয়ে রেখেছে অজিরা।

মাইকেল ভনের ফেভারিটের লিস্টে অবশ্য নেই ভারতের নাম। বিশ্বকাপ জয় থেকে এখনো অনেকটা দূরে ভারত,এমনটাই মনে করেন ভন। বিশ্বকাপের বছরে অজিদের কাছে ভারতের এমন সিরিজ হারের পরই এই মন্তব্য করলেন ভন। এর আগে পর পর দুই বছর দুই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বাজে পারফরম্যান্সের পরও একই কথা বলেছিলেন ভন।

ভন বলেন, ‘সাদা বলের ক্রিকেটে সামর্থ্য অনুযায়ী অনেক কমই অর্জন করেছে ভারত। তাদের অনেক প্রতিভা ও স্কোয়াডের গভীরতা আছে। বিশ্বকাপের মাত্র ছয় মাস বাকি এবং ভারতও এই মূহুর্তে বিশ্বকাপ জয় থেকে অনেকটা দূরে।’

আসন্ন বিশ্বকাপে নিজের ফেভারিটের কথা জানাতে গিয়ে নিজ দেশ ইংল্যান্ডকেই এগিয়ে রাখলেন ভন। তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ড এবারও ফেভারিট এটা আমাকে বলতেই হবে যদিও ২০১৯ সালে তারা যে কন্ডিশনে বিশ্বকাপ জিতেছিলো সেই কন্ডিশন থেকে এবারের বিশ্বকাপের কন্ডিশন ভিন্ন। তাদের স্পিন আক্রমণ ভালো। এছাড়াও তাদের এমন অনেক খেলোয়াড় আছে যারা স্পিন ভালো খেলে। পেস বোলিংয়েও তাদের দারুণ বৈচিত্র আছে। জফরা আর্চারের ইনজুরি থেকে ফিরে আসাটা ইংল্যান্ডের জন্য বিরাট কিছু। এছাড়াও মার্ক উড আছে যে ঘন্টায় ৯০ কিলোমিটার গতিতে বল করে। তাই আমি মনে করি ইংল্যান্ডের সেই সামর্থ্য ও অভিজ্ঞতা আছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link