প্রথম ম্যাচে বেশ বাজে ভাবেই হেরেছিলো সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। অন্যদিকে দুই ম্যাচে একটি জয় ও একটি হার ছিলো লক্ষ্মৌ সুপার জায়ান্টসের। নিজেদের প্রথম ম্যাচের বাজে ফর্ম এই ম্যাচেও কাটিয়ে উঠতে পারেনি হায়দ্রাবাদ। ক্রুনাল পান্ডিয়া ও অভিজ্ঞ লেগ স্পিনার অমিত মিশ্রর বোলিং তোপে প্রথমে মাত্র ১২১ রানেই থামে সানরাইজার্স। মামুলি এই লক্ষ্য পেরোতে খুব একটা বেগ পোহাতে হয়নি লোকেশ রাহুলের লক্ষ্মৌর। চার ওভার হাতে রেখে পাঁচ উইকেটের জয়ে টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় জয় তুলে নিলো তারা।
লক্ষ্মৌর অটল বিহারি বাজপেয়ি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে খুব একটা খারাপ সূচনা হয়নি হায়দ্রাবাদের। তৃতীয় ওভারে মায়ান্ক আগারওয়ালকে ফিরিয়ে লক্ষ্মৌকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। কিন্তু অপর প্রান্তে ভালোই খেলছিলেন আরেক ওপেনার আনমলপ্রিত সিং।
তবে অষ্টম ওভারে হায়দ্রাবাদের ব্যাটিং মেরুদন্ড ভেঙে দেন ক্রুনাল। পরপর দুই বলে ফেরান আনমলপ্রিত আর এইডেন মার্করামকে। এরপর পরের ওভারে লেগ স্পিনার রবি বিশ্নয় হ্যারি ব্রুককে ফেরালে ৫৫ রানে চার উইকেট হারিয়ে তখন ধুকছে হায়দ্রাবাদ।
অন্য প্রান্তে রাহুল ত্রিপাঠি এক প্রান্ত আগলে রাখলেও কখনোই গতি পায়নি হায়দ্রাবাদের ইনিংস। ৪১ বলে ৩৫ রানের ধীর গতির এক ইনিংস খেলেন ত্রিপাঠি। শেষ দিকে আব্দুল সামাদের ১০ বলে ২১ রানের ক্যামিওতে ১২০ রান পার করে হায়দ্রাবাদ। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটে ১২১ রানে থামে তারা। লক্ষ্মৌর হয়ে ক্রুনাল পান্ডিয়া তিন আর অমিত মিশ্র নেন দুই উইকেট।
১২২ রানের ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভালো সূচনা পায় সুপার জায়ান্টসরা। প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাট করা কাইল মায়ার্স অবশ্য এদিন রুদ্রমূর্তি ধারণ করতে পারেনি। দলীয় ৩৫ রানে ব্যক্তিগত ১৪ বলে ১৩ রান করে ফারুকীর বলে আউট হন মায়ার্স। এরপর দীপক হুডা দ্রুত ফিরে গেলেও অন্যপ্রান্তে আগলে রাখেন অধিনায়ক লোকেশ রাহুল।
বলের পর ব্যাট হাতেও আজকের দিনটি নিজের করে নেন ক্রুনাল। চার নম্বরে নেমে ২৩ বলে চারটি চার ও একটি ছক্কায় ৩৪ রান করেন এই অলরাউন্ডার। রাহুলের ৩১ বলে ৩৫ রানে চার ওভার হাতে রেখেই পাঁচ উইকেটের জয় পায় সুপার জায়ান্টস।
দুই ম্যাচের দুটিতেই বড় ব্যাবধানে হেরে টেবিলের তলানিতে এখন হায়দ্রাবাদ। অন্যদিকে তিন ম্যাচে দ্বিতীয় জয় পেলো লক্ষ্মৌ সুপার জায়ান্টস।