ইনজুরি থেকে এখনও পুরোপুরি সেরে ওঠেননি ভারতের পেস বোলিং সেনসেশন জাসপ্রিত বুমরাহ। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সেই যে পিঠের চোটে পড়লেন, এরপর এক প্রকার মাঠের বাইরেই আছেন ২৯ বছর বয়সী এ পেসার। এশিয়া কাপ থেকে শুরু করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপসহ চলতি আইপিএলও খেলতে পারছেন না বুমরাহ।
এমনকি ঘরের মাটিতে আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে আদৌ খেলতে পারবেন কিনা তা নিয়েও রয়েছে ঘোর অনিশ্চয়তা। ইনজুরি আক্রান্ত বুমরাহর স্বরূপে ফিরে আসার ব্যাপারে তার ক্যারিয়ার নিয়ে সম্প্রতি এমনই এক আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সাবেক পেসার, জনপ্রিয় ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার ইয়ান বিশপ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক এ পেসারের ক্যারিয়ারের গতিপথটা রুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল এক ইনজুরির কারণেই। একটা সময় পর ইনজুরি থেকে ফিরেছিলেন বটে। তবে নিজের ক্যারিয়ারটা পরে আর সেভাবে এগোয়নি। ৪৩ টা টেস্ট আর ৮৪ টা ওয়ানডে ম্যাচেই আটকে যায় তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের এমন সব তিক্ত অভিজ্ঞতা বিবেচনায় জাসপ্রিত বুমরাহকে নিয়ে অনুরূপ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইয়ান বিশপ।
তাঁর মতে, ‘পেসারদের আরো সতর্ক হয়ে বল করতে হয়। একবার ইনজুরিতে পড়লেই ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়ে যায়। আসলে এ ক্ষেত্রে পেসারদের কিছু করারও নেই। রানআপ কিংবা বল করার সময় ইনজুরি হওয়ার ব্যাপারটা নিয়ে আগে থেকে কেউই অতটা ভাবে না। তবে আধুনিক সময়ে এসে প্রত্যেক পেসারদেরই উচিৎ এসব মাথায় রেখে বল করা।’
২০২০ সালে সাবেক আরেক ক্যারিবিয়ান বোলার মাইকেল হোল্ডিং, জাসপ্রিত বুমরাহর ভবিষ্যতের ব্যাপারে অকপটে আশঙ্কার কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন। তাঁর মতে, শর্ট রানআপ আর দ্রুত গতিতে বল ছোড়ার কারণেই ইনজুরিতে পড়েন জাসপ্রিত বুমরাহ। পরবর্তীতে ইনজুরি এড়াতে তাই বোলিং অ্যাকশন পরিবর্তন করে ফেরেন অনেক পেসারই।
যদিও ইয়ান বিশপ অবশ্য, বুমরাহকে নতুন বোলিং অ্যাকশনে দেখতে চান না। তাঁর মতে, ‘একজন পেসার যেভাবে বল করে থাকেন, তাঁকে সেভাবেই বল করা উচিৎ। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এতটা বছর পার করার পর নতুন বোলিং অ্যাকশনে বল করা লাভের চেয়ে বরং ক্ষতিই বেশি বয়ে আনে। আর বুমরাহর বয়স এখন ২২/২৩ নয়। তিনি পরিণত একজন বোলার। এই বুমরাহকে মাঠে দেখার অপেক্ষায় বেশ কিছুদিন পার করছি। তাঁর প্রত্যাবর্তনটা দুর্দান্ত হোক। কারণ বুমরাহকে বল করতে দেখাও চোখের জন্য দারুণ এক সৌন্দর্য্যের ব্যাপার।’
তবে বুমরাহ’র মাঠে ফিরে কামব্যাকটা যে বড্ড কঠিন হবে তা জানিয়ে ইয়ান বিশপ বলেন, ‘আমি হয়তো এগুলো বলার যোগ্য নই। তবে সব কিছু নিশ্চিত হলেও বুমরাহ যে এসেই আগের মতো নিজের ছন্দ দেখাতে শুরু করবেন, বিষয়টা মোটেই এমন নয়। তাই একদম ফিট হয়েই মাঠে নামা উচিৎ বুমরাহর। দরকার হলে আরেকটু বিরতি নিয়ে ক্রিকেটে ফিরুক ও। এর মধ্যে বারংবার ইনজুরিতে পড়া ঠেকাতে এবার বুমরাকে আলাদা ভাবে কাজ করতেই হবে। নাহলে, সম্ভাবনাময় এ পেসার আড়ালে চলে যেতে পারে নিমেষেই।’