সৌম্যতে আর ভরসা নেই

দলের প্রয়োজনে নিজেকে পুরোটা ব্যবহারই যেন করতে পারছেন না সৌম্য সরকার। তাইতো মোহামেডান একাদশ থেকে বাদ পড়তে হয়েছে সৌম্যকে। 

ক্যারিয়ারের গ্রাফটা যেন কোনভাবেই উপরের দিকে উঠতে চাইছে না। ব্যাট আর আর বলের সংযোগটাই যেন আর ঠিক মত হচ্ছে না। দলের প্রয়োজনে নিজেকে পুরোটা ব্যবহারই যেন করতে পারছেন না সৌম্য সরকার। তাইতো মোহামেডান একাদশ থেকে বাদ পড়তে হয়েছে সৌম্যকে।

অথচ দুইদিন আগেই খবর চাওড় হয়েছিল, জাতীয় দলের জন্যে এখনও বিবেচিত সৌম্য। তেমনটাই জানিয়েছিলেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। তিনি বলেছিলেন, ‘সৌম্যর কাছে যে প্রত্যাশা সে অনুযায়ী পাচ্ছি না। কিছুদিন আগেও জাতীয় দলে ছিল। বাংলাদেশের পক্ষে তার অনেক ভালো পারফরম্যান্স আছে। ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স। এখন প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফরম্যান্স পাচ্ছি না। ও এখনও আমাদের চিন্তাভাবনার মধ্যে আছে।’

ক্রমশ তিনি ভরসা হারিয়ে ফেলছেন দলগুলোর। এমনটা চলতে থাকলে নিজেকে প্রমাণের সুযোগটুকুও তো হাতছাড়া হবে সৌম্যর। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে এবার ঢাকা ডমিনেটর্স দলটা ছিল ভীষণ দূর্বল একটা দল। সেই দলটার অন্যতম সেনানী হওয়ার কথা ছিল সৌম্য সরকারের। তবে তিনি তা হতে পারেননি। ব্যাট হাতে তিনি ছিলেন চরম ব্যর্থ।

১২ ম্যাচে প্রায় সাড়ে চৌদ্দ গড়ে করেছিলেন মোটে ১৭৪ রান। অথচ খালি চোখে তার প্রতিদ্বন্দ্বী নাজমুল হোসেন শান্ত করেছেন ৫১৬ রান। বাকিরা যেখানে সম্মুখপানে হেঁটে বেড়ানোর যাত্রা শুরু করেছে, সেখানে সৌম্য যেন ঠাঁয় দাঁড়িয়ে নিজের অবস্থানে।

না ঠিক নিজের অবস্থানেও দাঁড়িয়ে নেই তিনি। ক্রমশ উল্টো পথ ধরে এগিয়ে যাচ্ছেন অন্ধকার কোন গন্তব্যের দিকে। নতুবা প্রায় দুই বছরেও নিজের সমস্যার সমাধানটা খুঁজে না পাওয়ার কারণ বেশ রহস্যজনক। প্রতিভার কোন কমতি নেই। চেষ্টাতেও নিশ্চয়ই কোন কমতি রাখছেন না সৌম্য।

তবে সেই চেষ্টার যেন নেই কোন প্রতিফলন। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে তিনি খেলেছেন নয় ম্যাচ। বিশ গড়ে ১৬১ রান করেছেন তিনি। অন্যদিকে, রান সংগ্রহের দিক থেকে ডিপিএলে উপরের দিকেই অবস্থান সকল ওপেনারদের।

সবার উপরে রয়েছেন নাঈম শেখ। যদিও নাঈম শেখের ব্যাটিং স্টাইল নিয়ে রয়েছে বেশ সংশয়। এর পরের অবস্থানে থাকা এনামুল হক বিজয়ও মান সম্মত পেসারদের বিপক্ষে ধুঁকতে দেখা গেছে এবারের ডিপিএলেই। অন্যদিকে, তরুণ তানজিদ হাসান তামিম নিজের প্রতিভার সাক্ষর রাখতে শুরু করেছেন।

এত এত পারফরমারদের ভিড়ে সৌম্য বড্ড মলিন। তবুও স্রেফ প্রতিভার কারণেই তাঁর খোঁজ-খবর রাখছে টাইগার টিম ম্যানেজমেন্ট। তারা কেবলই অপেক্ষায় সৌম্যর খানিকটা জ্বলে ওঠার স্ফুলিঙ্গ দেখবার। তবে সৌম্যর ভাগ্য নিতান্তই যেন খারাপ।

মনস্তাত্ত্বিক বিষয় নিয়েও কাজ করতে শুরু করেছেন তিনি। ঠিক যেমনটা তাসকিন আহমেদ করেছেন নিজের খারাপ সময়ে। তাসকিন সফলতা পেয়েছেন। তবে সৌম্য পাবেন কি-না সেটার নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু এই যে সৌম্যর উপর থেকে ভরসা হারিয়ে ফেলছে দলগুলো, এই বিষয়টা আরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে তাঁর ফিরে আসার যাত্রায়। তবে নিশ্চয়ই ফিরবেন, হয়ত!

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...