টানা দুই মৌসুম ছিলেন দলের সাথে। একটি ম্যাচ খেলারও সুযোগ পাননি। বাবা দলের মেন্টর। তবুও যেন মুম্বাইয়ের হয়ে অভিষেকটা কিছুতেই হচ্ছিলো না অর্জুন টেন্ডুলকারের। অবশেষে কলকাতার বিপক্ষে ম্যাচে ভাগ্যের শিকে ছিড়লো ক্রিকেট ঈশ্বর শচীনের পুত্রের।
এমননিতেই নামের সাথে টেন্ডুলকার থাকা বিশাল এক চাপ নিয়েই খেলতে হয় অর্জুনকে। সেই চাপ নিয়ে আইপিএলে দুই ম্যাচ খেলেও খুব একটা খারাপ করেছেন অর্জুন তা বলা যাবে না।
সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে শেষ ওভারে বল করে দলের জয় নিশ্চিত করেছেন। পেয়েছেন প্রথম আইপিএল উইকেটও। শেষ ওভারে সানরাইজার্সের জয়ের জন্য যখন ২০ রান প্রয়োজন তখন বোলিংয়ে এসে মাত্র পাঁচ রান হজম করেন অর্জুন। তুলে নেন ভুবনেশ্বর কুমারের উইকেট। ২.৫ ওভার বল করে মাত্র ১৮ রান হজম করেন শচীন পুত্র।
ধীরে ধীরে মুম্বাই দলে জায়া পাকা করার রাস্তায় হাঁটলেও ডেথ ওভারে এখনো অর্জুন ভরসা করার মত জায়গায় যাননি বলে মনে করে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার টম মুডি। আইপিএলেও দীর্ঘদিন কোচিং করানো মুডি মনে করেন, ডেথ ওভারে ভালো বোলার হতে আরো অনেক স্কিল বাড়াতে হবে অর্জুনের। শেষ ওভারে অর্জুনের হাতে বল তুলে দেয়ার কারণে অধিনায়ক রোহিত শর্মা নিজেও অনেক চাপে ছিলেন বলে মনে করেন মুডি।
ক্রিকেট ভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মুডি বলেন,‘যদি প্রয়োগের জায়গা থেকে দেখেন তাহলে অর্জুন ভালোই করেছে। সে সঠিক লাইনে বল করেছে। ফিল্ডিং অনুযায়ী যে ধরণের বোলিং করার কথা সে তাই করেছে। সঠিক লেন্থে বল করেছে। কিন্তু তাঁর বোলিংয়ের সময় রোহিত এবং সে নিজে অনেক বেশি চাপে ছিলো। কারণ ইনিংসের শুরুতে রোহিত হয়তো ভাবেনি অর্জুন তাঁর ডেথ ওভার বোলার হতে যাচ্ছে।’
মুডি মনে করেন, ডেথ ওভারে না হলেও মিডল ওভারে ভালো অপশন হতে পারে অর্জুন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় তাঁর রোল মিডল ওভারে বোলিং করা। কিন্তু সে আসলে ডেথ ওভার স্পেশালিস্ট নয়। একই সাথে সে তাঁর বোলিংয়ের জন্য মাথা উঁচু রাখতেই পারে। সে টেলএন্ডারদের বোলিং করছে কিন্তু ২০ রান ডিফেন্ড করতে হয়েছে। তাই বলাই যায় সে ভালো করেছে।’