দারুণ কামব্যাকে লখনৌর জয়

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ম্যাচ মানেই যেন শেষ ওভারের রোমাঞ্চ। তবে লখনৌর দেওয়া এ দিনের ম্যাচে ১৫৫ রানের লক্ষ্যে রাজস্থানের শুরুর ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল, একপেশে একটা ম্যাচেই মিলিয়ে যাবে সকল উত্তেজনা। কিন্তু এমন লো স্কোরিং ম্যাচেও জমে উঠেছিল লড়াইটা। আর তাতে সহজ জয়ের দিকে চোখ রাখা রাজস্থান রয়্যালসেরই শেষমেশ কপাল পুড়েছে। লখনৌ সুপারজায়ান্টসের কাছে তাঁরা হেরেছে ১০ রানে। 

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ম্যাচ মানেই যেন শেষ ওভারের রোমাঞ্চ। তবে লখনৌর দেওয়া এ দিনের ম্যাচে ১৫৫ রানের লক্ষ্যে রাজস্থানের শুরুর ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল, একপেশে একটা ম্যাচেই মিলিয়ে যাবে সকল উত্তেজনা। কিন্তু এমন লো স্কোরিং ম্যাচেও জমে উঠেছিল লড়াইটা। আর তাতে সহজ জয়ের দিকে চোখ রাখা রাজস্থান রয়্যালসেরই শেষমেশ কপাল পুড়েছে। লখনৌ সুপারজায়ান্টসের কাছে তাঁরা হেরেছে ১০ রানে।

টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে এ দিন শুরুটা ভালই করেছিলেন লখনৌর দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল আর কাইল মেয়ার্স। দুজনের ৮২ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের পথেই এগিয়ে যাচ্ছিল লখনৌ। তবে দুই ওপেনারেরই অতি সাবধানী ব্যাটিংয়েই তা ভণ্ডুল হয়ে যায়।

কাইল মেয়ার্স ফিফটি পূরণ করেন ৪০ বলে। তবে ফিফটি পূরণের কিছুক্ষণ বাদেই তিনি ব্যক্তিগত ৫২ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান। তার আগে অপর ওপেনার উইকেটে থিতু হয়ে ফিরে যান ৩৯ রানে।

এরপর আয়ুষ বাদোনি আর দীপক হুডাও বেশিক্ষণ উইকেটে টিকে থাকতে পারেননি। দুই ব্যাটারই ফিরে যান এক অঙ্কের রান করে। আর মিডল অর্ডারদের এমন ব্যর্থতাতেই বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে যায় লখনৌর।

যদিও শেষ দিকে মার্কাস স্টয়নিস আর নিকোলাস পুরানের দুটি ক্যামিওতে নিজেদের সংগ্রহ কিছুটা বাড়িয়ে নিতে পেরেছিল লখনৌ। তারপরও শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ১৫৪ এর বেশি জমা করতে পারেনি লখনৌ সুপারজায়ান্টস।

১৫৫ রানের লক্ষ্যে প্রথম উইকেট জুটিতেই এক প্রকার ম্যাচের লাগাম নিজেদের দিকে টেনে নেয় রাজস্থান রয়্যালস। ইয়াশভি জেসওয়াল আর জশ বাটলারের ৮৭ রানের জুটিতে ম্যাচজয়টা তখন রাজস্থানের জন্য সহজ পথই মনে হচ্ছিল।

তবে ৪৪ রানে জেসওয়াল ফিরে যাওয়ার পর ১০ রানের ব্যবধানে আরো দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে রাজস্থান। সাঞ্জু স্যামসনের পর আউট হয়ে ফিরে যান উইকেটে থিতু হয়ে যাওয়া জশ বাটলার। আর এর পরেই জয়ের দিকে চোখ রাখা রাজস্থান রয়্যালস পড়ে যায় অনিশ্চয়তায়। সেই অনিশ্চয়তা আরো বেড়ে যায়, যখন শিমরন হেটমায়ারও আউট হয়ে ফিরে যান।

মাত্র ১৭ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারানো রাজস্থান ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় সেখানেই। হঠাৎ ধেয়ে আসা ছন্দপতনের সে ধাক্কা আর সামলাতে পারেনি রাজস্থানের ব্যাটাররা। যদিও শেষদিকে দেবদূত পাদিক্কাল আর রায়ান পরাগের ব্যাটিংয়ে রাজস্থান শিবিরে কিছুটা আশা জাগিয়েছিল।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইনিংসের শেষ ওভারে ১৯ রানের সমীকরণে সে লক্ষ্য আর টপকানো হয়নি রাজস্থানের। নির্ধারিত ২০ ওভারে তাদের ইনিংস থেমে যায় লক্ষ্য থেকে ১১ রান দূরে, ১৫৪ রানে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...