অ্যান্টি স্কিল ইনোভেশন, বিধ্বংসী ব্যাটারদের কাবু করার মন্ত্র!

একেকজন বিধ্বংসী ব্যাটারের কাছে দিন দিন অসহায় হয়ে পড়ছে বোলাররা। তাই কলকাতা নাইট রাইডার্সের সহকারী কোচ রায়ান টেন ডয়েশেট তাঁদের লাগাম টানার মন্ত্র বের করার আহ্বান করলেন।

একেকজন বিধ্বংসী ব্যাটারের কাছে দিন দিন অসহায় হয়ে পড়ছে বোলাররা। তাই কলকাতা নাইট রাইডার্সের সহকারী কোচ রায়ান টেন ডেসকাটে তাঁদের লাগাম টানার মন্ত্র বের করার আহ্বান করলেন।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) কোনো কিছুতেই যেন থামানো যাচ্ছে না বিধ্বংসী ব্যাটারদের। বোলারদের উপর তাঁরা চড়াও হচ্ছেন প্রতি ম্যাচেই। ইডেন গার্ডেনে আইপিএলের ৪২ তম ম্যাচে পাঞ্জাব কিংস বেশ সাবলীলভাবেই  টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান তাড়া করেছে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের দেয়া ২৬২ রানের লক্ষ্য ৮ বল এবং ৮ উইকেট হাতে রেখেই টপকে যায় তাঁরা।

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ডেসকাটে বলেন, ‘১০ বছর আগেও ১৬০ রান করলেই আপনি মনে করতে পারতেন যে, ম্যাচটি আপনি জিততে চলেছেন। তবে এখন দৃশ্যপট একদম ভিন্ন। বর্তমানে ১৩ ওভারের আগেই আপনার দরকার হয় ১৬০ রানের।’

সাবেক এই ডাচ অলরাউন্ডার ২০১৪ সালে কলকাতার হয়ে শিরোপা জিতেছিলেন। এবার তিনি বোলারদেরকে ভিন্ন এক পদ্ধতিতে বল করার পরামর্শ দিলেন। যা আক্রমণাত্মক ব্যাটারদের কাবু করতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।

এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আপনি অ্যান্টি স্কিলে বল করতে পারেন। আমার মনে শর্ট এবং ওয়াইড বল বেশ কার্যকার। কেননা, এতে করে ব্যাটারদেরকে তাঁদের জায়গা থেকে সরিয়ে দেয়া যায়।’

উদাহরণ হিসেবে তিনি স্যাম কারেনের করা বলে ফিল সল্টের আউট হওয়ার ঘটনাটি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আপনাকে সবসময় ব্যাটারের দুর্বল দিক খুঁজে বের করতে হবে। যেমনটা কুরান করেছে সল্টের বিপক্ষে। আমাদের ভিন্ন কিছু নিয়ে আসতে হবে। প্রতি বলেই পরিবর্তন আনতে হবে। আমার মনে হয় না আপনি একই বল দুবার করবেন। বিশেষ করে কোনো বিধ্বংসী ব্যাটারের বিপক্ষে আপনি সেটা করবেন না।’

কলকাতার বোলিং নিয়ে এই কোচ আরো বলেন, ‘বোলিং নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। এখন এসব কান্নাকাটি করেও কোনো লাভ নেই। তবে কলকাতায় নতুন বলে বল করা সত্যিই কঠিন। আমাদেরকে ভিন্ন কোনো পথ খুঁজে বের করতে হবে।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...