আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ শিরোপাজয়ী দুই দলের ম্যাচ। একটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের অপেক্ষা তাই অনুমেয়ই ছিল। কিন্তু চেন্নাই-মুম্বাইয়ের এ ম্যাচে সে লড়াইয়ের ছিটেফোঁটাও মিলল না। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসকে কোনোরকম প্রতিরোধ গড়ার সুযোগ না দিয়েই ৬ উইকেটের সহজ জয় তুলে নিয়েছে ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস।
টসে হেরে এ দিন ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই চেন্নাই পেসারদের বোলিং তোপের মুখে পড়ে মুম্বাইয়ের টপ অর্ডার। তুষার দেশপাণ্ডে আর দীপক চাহারের সুইংয়ে বিধ্বস্ত হয়ে একে একে ফিরে যান ক্যামেরুন গ্রিন, ইশাণ কিষান, রোহিত শর্মা। ১৪ রানের মাঝেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস।
টপ অর্ডারদের ব্যর্থতার দিনে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন সুরিয়াকুমার যাদব আর নেহাল ওয়াধেরা। তবে সাবলীল ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভাল করলেও ইনিংস দীর্ঘায়িত করতে পারেননি সুরিয়াকুমার যাদব। ২২ বলে ২৬ রানে ফিরে যান এ ব্যাটার।
সুরিয়ার পর মুম্বাইয়ের ইনিংসে হাল ধরেছিলেন নেহাল ওয়াধেরা। ২২ বছর বয়সী এ ব্যাটার এ ম্যাচ দিয়েই তুলে নেন আইপিএল ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধ-শতক। ৮ চার আর ১ ছক্কায় ৫১ বলে খেলেন ৬৪ রানের একটি ইনিংস।
তবে ওয়াধেরাকে আর কেউ এ দিন কেউ যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেনি। টপ অর্ডারের পর লোয়ার মিডল অর্ডারেও এ দিন চূড়ান্ত ব্যর্থতার পরিচয় দেন টিম ডেভিডরা। তারপরও ওয়াধেরার ঐ সময়োপযোগী ইনিংসেই নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস স্কোরবোর্ডে জমা করে ১৩৯ রান। চেন্নাইয়ের হয়ে লঙ্কান পেসার মাথিশা পাথিরানা ১৫ রান খরচায় নেন ৩ টি উইকেট।
১৪০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেন চেন্নাইয়ের ওপেনার রুতুরাজ গায়গোয়াড়। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি এ ব্যাটার। ১৬ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। আর এতেই চেন্নাইয়ের ইনিংসে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। ডেভন কনওয়ের সাথে তাঁর জুটি ভাঙে ৪৬ রানে।
গায়কোয়াড়ের পর তিনে নেমে আজিঙ্কা রাহানেও দারুণ শুরু করেছিলেন। তবে পিউষ চাওলার বলে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়ে এ ব্যাটার ফিরে যান ব্যক্তিগত ২১ রানে।
গায়কোয়াড়ের পর রাহানের বিদায়ে অবশ্য চেন্নাইয়ের তেমন বিপদ ঘটেনি। শুরু থেকেই দ্রুত গতিতে রান তোলায় সহজ জয়ের পথেই এগিয়ে যায় চেন্নাই। ওপেনিংয়ে নামা কিউই ব্যাটার ডেভন কনওয়ে এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করতে থাকেন। সাথে তাকে সঙ্গ দিয়েছিলেন আম্বাতি রাইডু আর শিভাব দুবে।
রাইডু ১২ রান করে ফিরে গেলে শিভাব দুবে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২৬ রানে। আর কনওয়ে ব্যক্তিগত অর্ধ-শতকের পথে হাঁটলেও ম্যাচের একদম অন্তিম মুহূর্তে ৪৪ রানে আউট হয়ে ফিরে যান। যদিও তখন ম্যাচ জয়ের জন্য কয়েকটা রানের আনুষ্ঠানিকতা বাকি ছিল মাত্র। শিভাব দুবের ব্যাট থেকে আসে উইনিং রান। আর এতেই ১৪ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় চেন্নাই সুপার কিংস।
৬ উইকেটের এ জয়ের ফলে শেষ চারে টিকে থাকার লড়াইয়ে নিজেদের অবস্থান আরো পোক্ত করলো চেন্নাই সুপার কিংস। অপরদিকে, শেষ চারের লড়াইয়ে মুম্বাইয়ের আশা শেষ না হলেও ।