জাতীয় দল থেকে অবসর নিলেও এখনো সংবাদমাধ্যমে আলোচনায় থাকেন পাকিস্তানের বাঁ-হাতি পেসার মোহাম্মদ আমির। এবারে এক সাক্ষাৎকারে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মাঝে নিজের পছন্দের তারকাকে বেছে নেন আমির। সেখানেই নাসিম শাহের প্রতি নিজের মুগ্ধতার কথা জানান এই তারকা।
আমিরের মতে, নাসিমের স্কিলসেটই তাঁকে বাকি তরুণ পেসারদের চাইতে আলাদা করে তুলেছে। তিনি বলেন, ‘নাসিম বাকিদের চাইতে আলাদা ঘরানার বোলার। সে ওয়ানডেতে ইনসুইংয়ের পাশাপাশি বলকে আউট সুইং করাতে জানে। এছাড়া সে ইয়র্কারের পাশাপাশি শর্ট বল করতেও দারুণ পটু। এসব দক্ষতাই তাঁকে নতুন বলের পাশাপাশি ডেথ ওভারেও কার্যকরী করে তুলেছে।’
এর বাইরেও মাঠে নাসিমের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতার প্রশংসা করেছেন এই অভিজ্ঞ পেসার। তাঁর মতে, নাসিম খুব দ্রুতই ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে বল করতে জানেন। ফলে মূহুর্তের মাঝে ম্যাচের দৃশ্যপট পাল্টে দিতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। নাসিম জানেন কখন কোন ডেলিভারিটা করতে হবে, মাঠে কোন ফিল্ডার কোন পজিশনে আছেন।
তিনি বলেন, ‘ওয়ানডেতে আমি নাসিমের যে গুণটার সবচেয়ে বেশি যে প্রশংসা করি সেটা হলো তাঁর দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা। সে জানে ম্যাচে কোন পরিস্থিতিতে কোন ডেলিভারিটা করা উচিত।’
আমির আরো বলেন, ‘ও নিশ্চিতভাবেই স্মার্ট একজন বোলার। যেমন ধরুন, সে কখনোই সুইং করাতে যাবে না যখন সে জানে উইকেট থেকে খুব বেশি সহায়তা পাবে না। এটাই বাকি বোলারদের চাইতে আলাদা করে তুলেছে নাসিমকে। অন্য বোলাররা যেখানে পিচ থেকে সুবিধা আদায়ের জন্য বলের শেপ ঠিক করতে ব্যস্ত, সেখানে নাসিম খুব দ্রুতই পিচের গতি প্রকৃতি বুঝে ফেলতে পারে। সে জানে পিচ কেমন আচরণ করছে, তাঁর কোন ডেলিভারিটা করা উচিত।’
এছাড়া নাসিমের বোলিং বৈচিত্র্যও নজর কেড়েছে অভিজ্ঞ এই পেসারের। আমির বলেন, ‘তাঁর বোলিংয়ে বৈচিত্র্য আছে। সে স্ট্যাম্প বরাবর টানা বল করে যেতে পারে। ওয়ানডেতেও টেস্ট লেংথে বল করে সে ব্যাটারদের লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলতে জানে। আজকের দিনে ওয়ানডেতে সফল হতে এই গুণটা ভীষণ জরুরি।
ঘরোয়া ক্রিকেটে আলোড়ন তুলে কৈশোর পেরোনোর আগেই জাতীয় দলে অভিষেক ঘটে নাসিম শাহের। বয়স মাত্র ২০ হলেও এর মাঝেই তিন ফরম্যাটেই জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বনে গেছেন এই পেসার।
১৫ টেস্টে এখনো পর্যন্ত ৪২ উইকেট শিকার করেছেন নাসিম। তবে লাল বলের চাইতে সীমিত ওভারের ক্রিকেটেই বেশি সফল এই তরুণ। আট ওয়ানডেতে ২৩ উইকেটের পাশাপাশি ১৯ টি-টোয়েন্টিতে তাঁর সংগ্রহ ১৫ উইকেট।