দুই মাসের দীর্ঘ আসরটাতে পুরোদমেই খেলেছেন। গত সপ্তাহে খেলা ফাইনালের সময়ও ছিলেন পূর্ণ ফিট ছিলেন রশিন খান। তবে, আইপিএল ফাইনালে খেলে আসার মাত্র এক সাপ্তাহের মধ্যেই এল ইনজুরির খবর। কোমড়ের ইনজুরির কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আজকে থেকে শুরু হতে যাওয়া ওয়ানডে সিরিজ মিস করতে যাচ্ছেন আফগান এই লেগ স্পিনার।
রশিদের এই ইনজুরিতে তাই একটা প্রশ্ন এসেই যায়, আইপিএলে ইনজুরি লুকিয়ে খেলেননি তো রশিদ? অর্থের ঝনঝনাতি আর জৌলুসের কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চেয়ে এখন অনেক ক্রিকেটারের কাছেই বেশি প্রাধান্য পায় ফ্রাঞ্চাইজি লিগ গুলো। আর আইপিএলের প্রাধান্য নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই।
বিরাট অঙ্কের অর্থে আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সের হয়ে খেলেন রশিদ। এর আগে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের প্রতিনিধিত্ব করলেও এই অর্থ সংক্রান্ত জটিলতাতেই সানরাইজার্স ছাড়েন রশিদ।
এর আগে অনেক ক্রিকেটারই ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলার জন্য নিজের ইন ইনজুরি লুকিয়েছেন যা পরে ধরা পড়েছে জাতীয় দলে খেলার সময়।
আইপিএল শেষ হবার মাত্র ৪ দিনের মাথায় রশিদের জাতীয় দলের খেলা মিস করাটা অনেকটা তেমন কিছুরই আভাস দিচ্ছে। জানা গেছে, কোমরের ইনজুরিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ রশিদ মিস করবেন তা নিশ্চিত। এর মধ্যে ফিট হয়ে উঠলে তৃতীয় ম্যাচে মাঠে নামতে পারেন তিনি।
তবে শ্রীলঙ্কা সিরিজের পরই টেস্ট খেলতে বাংলাদেশে আসবে আফগানরা। ১৪ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া সেই টেস্টের আগে রশিদকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চায় না আফগান টিম ম্যানেজমেন্ট। তাই তৃতীয় ওয়ানডেতেও বিশ্রামে থাকতে পারেন রশিদ।
ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের দৌরাত্বে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন অনক ক্রিকেটারই। ইংল্যান্ডের জেসন রয় তো ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলার জন্য বোর্ডের সাথে চুক্তিও বাতিল করেছেন।
এবার রশিদ যদি আইপিএলে ইনজুরি লুকিয়ে দেশের হয়ে খেলার আগে নিজেকে ঝুঁকিতে ফেলেন তাহলে সেটা নিশ্চিতভাবেই ভালো কোনো উদাহরণ হবে না ভবিষ্যত ক্রিকেটের জন্য।