ক্রিকেটের সাথে রাজনীতি মেলাবে না পাকিস্তান

বিশ্বকাপের বাকি আর মাস তিনেক। কিন্তু এখনো বিশ্বকাপের চূড়ান্ত সূচি প্রকাশ করেনি আইসিসি। যদিও কিছুদিন আগেই বিশ্বকাপের খসড়া সূচি অংশগ্রহণকারী দেশ গুলোর ক্রিকেট বোর্ডে পাঠিয়েছে আয়োজকরা। কিন্তু সেই খসড়া সচির ব্যাপারে অনুমোদন দেয়নি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। অক্টোবরে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে যাওয়াটাই যে এখনও নিশ্চিত নয় পাকিস্তানের।

কিছুদিন আগেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সদ্য সাবেক হওয়া সভাপতি নাজাম শেঠি জানিয়েছিলেন, বিশ্বকাপে পাকিস্তানের খেলতে যাওয়া না যাওয়া পুরোটাই নির্ভর করছে পাকিস্তান সরকারের দেয়া সিদ্ধান্তের ওপর। কিন্তু পাকিস্তান সরকারের তরফ থেকে এই বিষয়ে এতদিন কিছুই জানা যাচ্ছিলো না।

এমনিতেই রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচবা টালমাটাল অবস্থা বিরাজ করে পাকিস্তানে। ক্ষমতার পালাবদলের সাথে সাথে ক্রিকেট বোর্ডের নেতৃত্বেও আসে পরিবর্তন। তাই পাকিস্তানের ভারতে খেলতে যাওয়া না যাওয়া পুরো বিষটাই আদতে বেশ জটিল ও ঘোলাটে। তবে দেরিতে হলেও পাকিস্তানের বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবার প্রক্রিয়া নিয়ে মুখ খুলেছে পাকিস্তান সরকার।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর জন্য ৪ জুলাই অনু্ষ্ঠিত হতে যাওয়া সাংহাই কোওপারেশন অরগানাইজেশনের সরকার প্রধানদের ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেবার আমন্ত্রণ পেয়েছি। পাকিস্তান সেই সামিটে অংশ নেবে। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের ব্যাপারে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আমরা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেব।’

ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে এই মুখপ্রাত্র আরো বলেন, ‘পাকিস্তান মনে করে খেলাধুলাকে রাজনীতির সাথে এক করা উচিত না৷ ভারতের পাকিস্তানে খেলতে না আসার নীতি খুবই হতাশাজনক। আমরা পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা সহ সব কিছুই পর্যালোচনা করছি বিশ্বকাপে অংশ নেবার ব্যাপারে এবং যথাসময়েই আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত পিসিবিকে জানিয়ে দেব।’

বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আগামী পাঁচ অক্টোবর ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ দিয়েই শুরু হবার কথা বিশ্বকাপ। খসড়া সূচীতে এই হাই ভোল্টেজ ম্যাচ রাখা হয়েছে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। পাকিস্তান বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে এলেও গুজরাটের এই স্টেডিয়ামে খেলতে নামবে কিনা সেটিও বড় প্রশ্ন।

শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান বিশ্বকাপ খেলতে এলেও তাদের নিরাপত্তা প্রতিনিধিদের রিপোর্ট অনুযায়ী নিজেদের পছন্দের ভেন্যুর তালিকা দেবে পিসিবি। সেই নির্দিষ্ট ভেন্যু ছাড়া অন্য কোনো ভেন্যুতে ম্যাচ খেলবে না পাকিস্তান। ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও নিরাপত্তার কারণে শেষ পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ধর্মশালা থেকে সরিয়ে নেয়া হয় কলকাতায়।

বিশ্বকাপের আর ৯০ দিনের মত সময় বাকি থাকলেও এখনো কোনো কিছুই চূড়ান্ত করতে পারছে না পাকিস্তান। যার কারণে চূড়ান্ত সূচিও দিতে পারছে না আয়োজক ভারত ও আইসিসি৷ তবে বেশিরভাগ বিশ্লেষকই মন করেন, শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ খেলতে যাবার ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্তই দিতে পারে পাকিস্তান সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link