২-০ তে সিরিজে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। প্রবল সম্ভাবনা হোয়াইট ওয়াশ হওয়ার। দলের সাম্প্রতিক পারফরমেন্স সেই সম্ভাবনাকে আরও খানিকটা ঘনীভূত করে। এমন এক পরিস্থিতে বাংলাদেশের একাদশে ব্যাপক পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ।
কেননা দল এগিয়ে থাকলে, না হয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যায়। কিন্তু বাংলাদেশ শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি হারলে র্যাংকিংয়ে হবে অবনমন। এমন এক পরিস্থিতিতে খেলোয়াড় যাচাইয়ের সুযোগ খুব একটা থাকে না। সেদিক বিবেচনায় প্রায় একই রকম দল নিয়েই হয়ত খেলতে চাইবেন অধিনায়ক লিটন দাস।
যা পরিবর্তন হওয়ার, তা হবে নিশ্চিতভাবেই পেস বোলিং ডিপার্টমেন্টে। প্রথমত, সিরিজের দুই ম্যাচেই বাংলাদেশের ব্যাটিং মুখ থুবড়ে পড়েছে।
সেদিক থেকে একজন বাড়তি ব্যাটার নিয়ে খেলার নীতি থেকে এই মুহূর্তে সরে আসতে নিশ্চিতভাবেই চাইবে না বাংলাদেশ। তাছাড়া ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তনের খুব বেশি জায়গাও নেই। স্রেফ ওপেনিং ছাড়া।
মোহাম্মদ নাইম শেখ ছাড়া দলে ওপেনার হিসেবে রয়েছেন রনি তালুকদার। রনির একাদশে সুযোগ পাওয়ার একটা মৃদু সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তাতে খানিকটা অবিচার করা হয়ে যায় নাইমের সাথে।
কেননা মাত্র একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ দিয়ে, দল থেকে ছেঁটে ফেলা সেই খেলোয়াড়ের মানসিকতায় বিরুপ প্রভাব ফেলতে পারে। সেদিক বিবেচনায় লিটনের সাথে নাইমের শুরু করবার সম্ভবনাই প্রবল।
যদিও দ্বিতীয় ম্যাচে সুযোগ পেয়ে সেটা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছেন নাইম। মন্থর গতির ইনিংস তিনি খেলেছেন ৩৩১ রানের টার্গেটেও। সেই ধীর শুরুটা বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি।
বল খরচের সুবিচার তিনি করতে পারেননি। তাই তাকে চাইলেই বাদ দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু তাতে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়, দলের বাকি ব্যাটারদের পারফরমেন্স।
অন্যদিকে, সাইডবেঞ্চে কোন ব্যাটারও নেই, এক রনি তালুকদার ছাড়া। তাছাড়া সহকারী কোচ নিক পোথাসের সংবাদ সম্মেলন থেকে আভাস মিলেছে, কাউকেই স্বল্প সুযোগ দিতে নারাজ বর্তমান টিম ম্যানেজমেন্ট। অতএব নাইম আরও একটি সুযোগ পাবেন, তা বলে দেওয়াই যায়। তাছাড়া আফিফের পরিবর্তনটাও আপেক্ষিক।
আফগানিস্তানের ব্যাটিং অর্ডারে ডান-হাতি ব্যাটারদের আধিক্য বেশি। সেদিক থেকে বাঁ-হাতি স্পিনার হিসেবে কেবলমাত্র তাইজুল ইসলামের অন্তর্ভূক্তিই পারে আফিফকে একাদশ থেকে বাইরে বের করতে। তবে সেটাও সম্ভব নয়।
কেননা প্রতিপক্ষ দলের বোলিং যে বিশ্বসেরা। বাংলাদেশের অধিনায়ক, কোচ থেকে শুরু করে, সবাই আফগান বোলারদের প্রশংসা করেছেন বহুবার। তাইতো আট ব্যাটার নীতিতেই হয়ত থাকবে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট।
সেদিক থেকে একাদশে পেসারদের সংখ্যা কমলেও কমতে পারে। তবে তাসকিন আহমেদের আবারও একাদশে থাকছেন, তেমন আভাসই মিলেছে।
কেননা এবাদত হোসেন ইনজুরির কারণে ছিটকে গেছেন। আর বাংলাদেশের টিম ম্যানেমেন্ট দারুণ এই পেস অ্যাটাকের ফায়দাটা নিতে চায়। তাইতো পেসারদের এক এক করে সুযোগ দিচ্ছেন তারা।
সেই ধারা অনুযায়ী শরিফুল ইসলামকেও দেখা যেতে পারে একাদশে। হয়ত এ ক্ষেত্রে বিশ্রাম পেতে পারেন মুস্তাফিজুর রহমান। গেল দুই ম্যাচে বল হাতে খুব একটা সুবিধা তিনি করতে পারেননি। বিশ্রামের প্রয়োজন তার রয়েছে। আবার যদি তিনজন পেসার নিয়েই খেলে বাংলাদেশ, তাহলে হয়ত দুইজন বাঁ-হাতি পেসারকে একাদশে দেখা যেতেই পারে।
হাসান মাহমুদও গেল দুই ম্যাচে নজর কাড়ার মত কোন পারফরমেন্স উপহার দিতে পারেননি। বাংলাদেশ ঠিক কোন একাদশ নিয়ে মাঠে নামে সেটা সময়ই বলে দেবে।
এক এবাদত হোসেন ছাড়া, বাকি সবারই বেশ অল্প হলেও সম্ভাবনা রয়েছে একাদশে ঢুকে যাওয়ার। যেহেতু জয়ে নেই বাংলাদেশ, সেহেতু ‘উইনিং কম্বিনেশন’ ভাঙার মত কোন ঘটনাও ঘটছে না।