বার্সার তহবিল থেকে নিয়মিত অর্থ সরাতেন বার্তেমেউ!

‘বার্সাগেট’ কেলেঙ্কারিতে আগেই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সাবেক বার্সা সভাপতি জোসেফ মারিয়া বার্তেমেউ। এবার কাতালুনিয়া পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসলো বিস্ফোরক এক তথ্য। বার্তামেউ নাকি তাঁর সময়ে বার্সার তহবিল থেকে নিয়মিতই নিজ প্রয়োজনে অর্থ সরাতেন।

সম্প্রতি কাতালোনিয়া পুলিশ জানিয়েছে, ২০২০ সালে বার্তামেউ ক্লাব তহবিল থেকে এক লক্ষ ৫২ হাজার ইউরো সরিয়েছেন। যার ৪৩ শতাংশই তিনি ব্যয় করেছেন পারিবারিক ব্যবসার ক্ষেত্রে। যেখানে মূলত তাঁর লেনদেন হয়েছে তাঁরই পুত্র জোসেফ হুয়ানমার্তির সাথে।

এ ছাড়া বার্সায় নিজের সিংহাসন টিকিয়ে রাখতে তিনি মাঝে মধ্যেই বেশ কিছু স্প্যানিশ সাংবাদিকদের সাথে লেনদেন করতেন। যার উদ্দেশ্য ছিল, তাঁরা পরের নির্বাচনে বার্তামেওর নির্বাচনী প্রচারণায় কাজ করবেন।

এর মধ্যে ২৩ শতাংশ অর্থই গিয়েছে সাংবাদিক মার্কাল লরেন্তের পকেটে। এ ছাড়া বাকি অর্থ গিয়েছে আরো দুই সাংবাদিকের কাছে। এর মধ্যে একজন হলেন আলবার্ট লেসান্ট। আর অন্যজন হলেন আলবার্তো ডি লা তোরে।

২০২০ সালে দুর্নীতি ও বিতর্কিত কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বার্তেমেউ এবং তার পরিচালনা পর্ষদ পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ২০১৭ সালে ন্যু ক্যাম্পে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার ও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে আইথ্রি নামের এক গণসংযোগ প্রতিষ্ঠানকে অর্থ দেওয়া। এ ছাড়া বার্সা কিংবদন্তিদের নামে অপপ্রচার চালানোর কারণে চরম সমালোচিত হতে হয়েছিল বার্তামেওকে।

এর মধ্যে লিওনেল মেসির সঙ্গেও সম্পর্কের অবনতি হয় বার্তামেউয়ের। এরপরই ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন মেসি। যদিও বার্তামেওর বিদায়ে পরিস্থিতি তখন কিছুটা ঠাণ্ডা হয়। তবে ক্লাবকে প্রায় দেউলিয়া করে দেওয়ার জন্য যা করার দরকার ছিল, তা করেই পদত্যাগ করেছিলেন তিনি।

প্রায় তিন বছর ধরে, বার্তামেওর সেই সব কাণ্ডকীর্তির মাশুল এখন দিচ্ছে বার্সেলোনা। আর্থিক দুরবস্থার কারণে তাদের স্টেডিয়ামও দিয়ে দিতে হয়ে স্পটিফাইকে। এ ছাড়া বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বার্সা টিভিও। যদিও শেষ মৌসুমে লা লিগা শিরোপা জিতে কিছুটা আর্থিক অবস্থা উন্নতির উৎস খুঁজে পায় বার্সেলোনা।

যদিও এখনও রয়েছে স্যালারি ক্যাপ নিয়ে জটিলতা। শুধুমাত্র এই কারণেই মেসির বার্সা প্রত্যাবর্তনের দারুণ মঞ্চ উন্মুক্ত হলেও শেষমেশ তাঁরা দলে ভেড়াতে পারেনি।

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link