যে অধিনায়কত্ব নিয়ে আলোচনা, সেই দায়িত্বটাই ছেড়ে দিলেন তামিম ইকবাল খান। জাতীয় দলে তিনি এখনও খেলবেন, তবে সেটা কেবলই ব্যাটার হিসেবে।
রাত আটটায় তিনি বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসানের বাসায় যান। গুলশানের বাসভবনে ঘণ্টা দেড়েকের বৈঠক চলে। এরপর বের হয়ে এসে তাঁরা গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন। সেখানে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস ও বোর্ডের অন্যান্য কর্মকর্তারা ছিলেন।
তামিম বলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে আমার জার্নিটা সম্ভবত ভাল ছিল। এখন আমি অধিনায়ক থাকবো না, তবে যে অধিনায়ক থাকবেন তাঁর প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন থাকবে। আমি নিজের কাজটা শতভাগ পালন করব।’
এর অর্থ হল, এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ – আসন্ন বড় দু’টি আসরে নতুন অধিনায়ক নিয়ে খেলতে নামবে বাংলাদেশ দল। দুই-একদিনের মধ্যেই এশিয়া কাপের ২০-২২ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করা হবে। তবে, খুঁজতে হবে নতুন নেতা।
তামিমকে এশিয়া কাপে পাওয়া যাবে না, ব্যাটার হিসেবেও নয়। সপ্তাহ দুয়েক পর তিনি বিশ্রাম শেষ করে ফিরবেন অনুশীলনে। ফিরতে চান নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে।
অবশ্য, অধিনায়ক হিসেবে বেশ সফল তামিম। যে ৩৭ টি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁর মধ্যে জিতেছেন ২১ টি-তেই। মানে, জয়ের হারে তিনি প্রায় মাশরাফি বিন মুর্তজার কাছাকাছি।
বিসিবিরও তামিমকে নিয়ে তেমন কোনো আপত্তি ছিল না। কিন্তু, দুয়ারে বিশ্বকাপ আর ফিটনেস ইস্যু আছে বলেই সকল দুশ্চিন্তার সূচনা হয়েছিল। সেদিক থেকে সরে যাওয়াকেই সঠিক সিদ্ধান্ত মনে করেছেন তামিম। বোর্ডও মেনে নিয়েছে তামিমের সিদ্ধান্ত।
এখন কে হবেন নতুন অধিনায়ক? – এই প্রশ্নে চলছে জল্পনা-কল্পনা। আলোচনায় আছে দুটি নাম। তারা হলেন সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস। বোর্ড সভাপতি জানিয়েছেন, চার-পাঁচদিনের মধ্যেই নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করা হবে। আপাতত না হয় সে পর্যন্তই অপেক্ষা করা যাক।