কেন তিনে নামলেন হৃদয়?

দশম ওভারের শেষ ডেলিভারিতে প্রথম উইকেটের পতন হয় বাংলাদেশের। ৩২ বলে ২৮ রান করে সাজঘরে ফিরেন নাঈম শেখ। তখনই একটা বিস্ময় জাগানিয়া সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে যান তাওহিদ হৃদয়, যিনি আসলে ওয়ানডেতে নিয়মিত ভাবে ব্যাট করেন পাঁচ নম্বরে।

যদিও, তাঁর ইনিংস মাত্র দুই বলের জন্য স্থায়ী হয়। ফলে, সাকিব আল হাসান ও চান্দিকা হাতুরুসিংহের নেওয়া সিদ্ধান্ত আরও বেশি বিস্ময় বাড়ায়। কেনই বা তিন নম্বর থেকে সরানো হল নাজমুল হোসেন শান্তকে? কেনই বা তিনে নামলেন হৃদয়?

আসলে এখন টিম ম্যানেজমেন্ট একটা জুয়া খেলতে চেয়েছে? কি রকম? চলুন, একটু বিস্তারিত বুঝি। আফগানিস্তান একাদশে মূল স্ট্রাইক বোলার তিনজন। প্রথম পাওয়ার প্লে তে ফজল হক ফারুকি এবং মুজিব উর রহমান বোলিং করে ফেলেছেন।

রশিদ খান তখন ছোট্ট একটা চোট নিয়ে মাঠের বাইরে। ওয়ান ডাউনে তখন নাজমুল হোসেন শান্ত ব্যাটিংয়ে আসলে আফগানিস্তান অফ স্পিনার মোহাম্মদ নবীকে বোলিংয়ে নিয়ে আসতে পারতো। হৃদয়কে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর কারণ ছিল উইকেটে দুই ডানহাতি ব্যাটার রাখা। যাতে করে, নবীকে তখনই বোলিংয়ে আনতে না পারে আফগানিস্তান, বাধ্য হয়ে বোলিং অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইব ও করিম জানাতকে দিয়ে বোলিং করায়।

সাকিবের পরিকল্পনাটা ছিল সহজ। প্রতিপক্ষের বোলিং পরিকল্পনাটাকে নষ্ট করে দেওয়া। আফগানিস্তান সেটাই করেছিল, পা দিয়েছিল সাকিবের ফাঁদে। যদিও, দূর্ভাগ্যবশত হৃদয় আউট হয়ে যাওয়ায় পরিকল্পনাটা বাস্তবায়িত হয়নি।

হৃদয় রান করতে পারলে, বাংলাদেশ স্লগ ওভারে আফগানিস্তানকে স্পিনার দিয়ে বোলিং করাতে বাধ্য করতে পারত। হৃদয় দ্রুত সাজঘরে ফিরলেও, এরপরে ম্যাচের বড় একটা সময় ছিল বাংলাদেশের দখলে। বিপদটি কাটিয়ে বাংলাদেশ লাহোরের ব্যাটিং স্বর্গে বড় সংগ্রহের পথে হাঁটে বাংলাদেশ দল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link