সাত নম্বর থেকে এক লাফে ওপেনিংয়ে। মেক শিফট ওপেনার হিসেবে টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থার প্রতিদান দারুণভাবে দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা মরার লড়াইয়ে হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরি।
মিরাজের ব্যাটিং সক্ষমতার প্রদর্শনী অবশ্য এটিই প্রথম নয়। গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ-ভারতের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটা বাংলাদেশ জিতেছিল মিরাজের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই। ঐ সিরিজেই ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথম শতকের ছোঁয়া পেয়েছিলেন মিরাজ।
ভারতের বিপক্ষে ঐ সেঞ্চুরির পর আবারো সেঞ্চুরির দেখা। এবারেরটা এশিয়া কাপের মঞ্চ। মহাদেশীয় আসরে এমন ইনিংস চোখে পড়েছে অনেকেরই। নজর এড়ায়নি ভারতের অফস্পিনার রবিচন্দন অশ্বিনেরও। টুইটারে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে মিরাজকে ভাসিয়েছেন ভূয়সী প্রশংসায়।
মিরাজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি স্কোরকার্ডের ছবি সংযুক্ত করে তিনি লিখেছেন, ‘ব্যাটার হিসেবে মিরাজের উত্থান বাংলাদেশের জন্য বিরাট ইতিবাচক দিক। বাংলাদেশ দলকে দারুণ ভারসাম্য এনে দিয়েছে এ ইনিংস। ওদের টিম ম্যানেজমেন্ট অবশ্য গত এক বছর ধরেই ব্যাটিং সক্ষমতার যথাযথ প্রয়োগ করছে। বিশেষ করে এই ম্যাচের পর।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১১২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলার পথে প্রায় ৪২ ওভার ক্রিজে ছিলেন মিরাজ। শুরুতে নাঈম শেখের সাথে গড়েন ৬০ রানের জুটি। এরপর ৩ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারালে সাময়িক চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
তবে, সেই চাপকে দীর্ঘ করতে দেননি মিরাজ। নাজমুল হোসেন শান্তর সাথে গড়েন ১৯৪ রানে জুটি। যেটি আবার এশিয়া কাপে বাংলাদেশের যে কোনো উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড।
ব্যাট হাতে এমন ইনিংস খেলার পথে বল হাতেও একটি উইকেট নেন মিরাজ। সেঞ্চুরির পর এক উইকেট। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৮৯ রানের জেতা ম্যাচে তাই অনুমিতভাবেই ম্যাচ সেরা পুরস্কার ওঠে মিরাজের হাতে।
বাংলাদেশ দলের জন্য স্বস্তির ব্যাপার হল, ৮৯ রানের এ বড় জয়ে গ্রুপ ‘বি’-এর প্রথম দল হিসেবে সুপার ফোর নিশ্চিত করে ফেলেছে টাইগাররা। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে সুপার ফোর যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ।