২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কিংবা এবারের এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচ – শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে রীতিমতো নাস্তানাবুদ হয়েছিল ভারতীয় টপ অর্ডার। বামহাতি পেসারদের প্রতি রোহিত শর্মাদের যে ভয়, সেটা আরো কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন শাহীন। শেষমেশ অবশ্য সেই ভয়কে জয় করেছে তাঁরা।
সুপার ফোরের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পাকিস্তানি পেসারদের শুধু প্রতিরোধই করেননি ভারতীয় ওপেনাররা; আক্রমণও চালিয়েছেন সমান তালে। প্রায় প্রতি ওভারেই আদায় করেছেন বাউন্ডারি, কখনো চেপে বসতে দেননি প্রতিপক্ষ পেসারদের। আর তাতেই দীর্ঘদিন পর পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ সূচনা পেয়েছে ভারত।
টসে জিতে আগে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বাবর আজম, ভেবেছিলেন হয়তো আগের বারের মত এবারও তান্ডব চালাবেন দুই পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদি এবং নাসিম শাহ। তবে অন্য পরিকল্পনা ছিল ব্যাটারদের; প্রথম ওভারেই শাহীনকে ছয় হাঁকিয়ে সেই বার্তা দিয়েছিলেন অধিনায়ক রোহিত।
সেই শুরু, এরপর একের পর এক বাউন্ডারির দেখা মেলে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে। শাহীন, নাসিমের পাশাপাশি ফাহিম আশরাফকে বোলিংয়ে এনেও থামানো যায়নি গিল-শর্মা জুটিকে। পাওয়ার প্লের দশ ওভারে এই দুই ডানহাতি তোলেন ৬১ রান। পাওয়ার প্লে শেষ হতেই বাউন্ডারি লাইনে দুই ফিল্ডারের জায়গায় আসে চার ফিল্ডার – ফলে রানের গতি কমে আসার কথা, অথচ উল্টো বেড়ে যায় ভারতের রান তোলার গতি।
এগারো থেকে পনেরো – এই পাঁচ ওভারেই আসে ৫৪ রান। চার, ছয়ের মারে পুরো স্বদেশী ক্রিকেটপ্রেমীদের মাতিয়ে তোলেন গিল, রোহিতরা। মাঝে ১৪.১ বলে দুর্দান্ত এক বাউন্ডারির সাহায্যে ফিফটি তুলে নেন ভারতীয় দলপতি। এর আগে তরুণ গিলও করেছিলেন ক্যারিয়ারের অষ্টম অর্ধশতক।
শেষপর্যন্ত সতেরোতম ওভারে ফাহিম আশরাফের চমৎকার এক ক্যাচের কল্যাণে ৫৬ রানের মাথায় প্যাভিলিয়নে ফেরেন রোহিত শর্মা। পরের ওভারে শাহীন শাহ আফ্রিদি আউট করেন ৫৮ রানে ব্যাট করতে থাকা শুভমান গিলকেও। ততক্ষণে অবশ্য ১২৩ রান তুলে ফেলেছিল ভারত;
যেখানে উদ্বোধনী জুটিতেই এসেছে ১২১ রান। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের বিপক্ষে এমন দুর্দান্ত শুরু স্বাভাবিকভাবেই বাড়তি আত্মবিশ্বাস দিবে পুরো ব্যাটিং লাইনআপকে।
বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে গিয়েছে এশিয়া কাপের সফলতম দলটি; তবে ম্যাচ জেতা এখনো নিশ্চিত নয়, বাকি আছে আরো লড়াই। অবশ্য ম্যাচ জেতা ছাড়াও স্বস্তিতে আছে ভারত, অন্তত বামহাতি পেসারদের জুজু কাটাতে পেরেছে ওপরের দিকে ব্যাটাররা।