সেই বাংলাদেশ, এই জার্গেনসেন

এই মাঠ, এই উইকেট – কোনো কিছুই তাঁর অচেনা নয়। অজানা নয় মানুষগুলোও। একটা সময় এটাই তো ঘরবাড়ি ছিল শেন জার্গেনসেনের। ২০১৩/১৪ সালের দিকে বাংলাদেশ দলের হেড কোচ ছিলেন তিনি।

অস্ট্রেলিয়ার এই কোচের তাই বাংলাদেশ নিয়ে রয়েছে অনেক স্মৃতি। সেই স্মৃতিময় দেশে আবারো এসেছেন তিনি, আর সেজন্য বেশ খুশিও হয়েছেন। তবে এবার নতুন পরিচয়ে তাঁকে কাছে পেয়েছে লাল-সবুজের ক্রিকেট – এখন জার্গেনসেন নিউজিল্যান্ড দলের পেস বোলিং কোচ।

যদিও পুরনো শিষ্যদের ভোলেননি, জানেন ওয়ানডে ফরম্যাটে কতটা শক্তিশালী বাংলাদেশ। এই দলকে তাই সমীহের চোখেই দেখছেন শেন জার্গেনসন। তাঁর মতে, এই সিরিজে টাইগাররা কঠিন প্রতিপক্ষ হবে কিউইদের জন্য।

এদেশের আবহাওয়া, পিচের কন্ডিশন সবকিছুর সাথে দ্রুত মানিয়ে নেয়াই আপাতত লক্ষ্য নিউজিল্যান্ড দলের। সর্বশেষ ইংল্যান্ডে ম্যাচ খেলেছে তাঁরা, সেখানকার আবহাওয়া এবং পিচের সঙ্গে বাংলাদেশের ফারাক বিস্তর। সেটা নিয়ে খানিকটা চিন্তিত শেন জার্গেনসন।

কিউইদের পেস বোলিং কোচ বলেন যে, ‘হ্যাঁ, আমাদের প্রথম কাজ হবে গরমের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া। এখানকার গরম এবং আদ্রতা ইংল্যান্ডের থেকে কিছুটা ভিন্ন হবে। এসব উইকেটে সাধারণত একটু বেশি স্পিন থাকে এবং এটা আমাদের ব্যাটিং লাইনআপের সামনে সুযোগ বোর্ডে কিছু রান তুলে বোলারদের সাহায্য করা।’

কোচের কথাতেই স্পষ্ট, মূল দায়িত্ব নিতে হবে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের। নিয়মিত অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন, টম লাথাম, ডেভন কনওয়ের মত বিশ্বমানের তারকারা না থাকায় পারফর্ম করার দায় এখন তরুণদের ওপর। বিশেষ করে ফিন এলেন, টম ব্ল্যান্ডেল, উইল ইয়ংদের ব্যাটের দিকে তাকিয়ে থাকবে দল।

শেন জার্গেনসন যখন বাংলাদেশের কোচ ছিলেন, তখন বাংলাদেশ মাত্র ভাল খেলতে শুরু করেছিল। সে সময়কার বেশ কিছু স্মরণীয় জয়ও আছে। তবে কয়েক ম্যাচ কাছে গিয়েও হেরেছে টাইগাররা। সেসব নিয়ে এখনো আক্ষেপ রয়ে গিয়েছে এই কোচের।

কথার প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমার কিছু সামান্য ব্যবধানে পরাজয়ের কথা মনে আছে। আবার অনেক টুর্নামেন্টে হতাশাজনক সময় গিয়েছে। কিন্তু এখানে বেশ কিছু ভালো জয়ও ছিল। তারা (দেশের মানুষেরা) ক্রিকেটকে ভালোবাসে। তিন ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ দল অবশ্যই কঠিন প্রতিপক্ষ হবে।’

অনেক বছর পর এই মাটিতে পা রাখলেও অনেক চেনা মুখের দেখা পেয়েছেন শেন জার্গেনসন। তাঁদের নিয়ে সাবেক এই পেসার বলেন, ‘আমি অনেক বছর পর এখানে এসেছি। বাংলাদেশে বেশ কিছু পরিচিত মুখ দেখে ভালো লাগছে। আমি যখন বাংলাদেশ দলের সঙ্গে ছিলাম এদের অনেকে তখন আমাদের দলকে সাহায্য করতো এবং অনেক সমর্থক ছিল। অনেক পরিচিত সাংবাদিকদের দেখেছি বিমানবন্দরেও। তারাও ক্রিকেটকে মন থেকে ভালোবাসে।’

জয়-পরাজয় ছাপিয়ে এই সিরিজ অবশ্য দুই দলের জন্যই বেঞ্চের শক্তি পরখ করার মঞ্চ। তাই সেদিকেই হয়তো বেশি মনোযোগ থাকবে শেন জার্গেনসনের, তবে জয়ের ব্যাপারে ছাড় দিবেন না নিশ্চয়ই।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link