ইয়র্কার মিস হওয়ার সুযোগ নিলেন রাকিবুল হাসান। বল চলে গেল মিড উইকেট বরাবর। চারটি রান। বাকিটা তাঁর উল্লাসেই বোঝা গেল, শেষ ওভারে ২০ রান তুলে বাংলাদেশ প্রায় অসম্ভব এক জয় নিশ্চিত করে ফেলেছে। তবে, জয়ের নায়ক আগেই ফিরে গেছেন সাজঘরে। তিনি ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি।
এই বিশ্বকাপ দলেও রাব্বির থাকার একটা সম্ভাবনা ছিল। সেটা শেষ অবধি হয়নি। তাঁকে আগে থেকে ঠিক মত বাজিয়ে দেখেনি বাংলাদেশ দল। এশিয়ান গেমসে পাঠানো হলেও তিনি প্রথম দুই ম্যাচে ছিলেন দলের বাইরে।
তৃতীয় স্থান নির্ধারণী শেষ ম্যাচে তিনি নামলেন। আর নেমেই প্রমাণ করলেন প্রথম দুই ম্যাচে তাঁকে একাদশের বাইরে রাখার সিদ্ধান্তটা একেবারেই ভুল ছিল। বৃষ্টির কারণে পাঁচ ওভারে নেমে আসা টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১৬ বলে ৩৮ রান তুলে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করলেন রাব্বি। পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতে এশিয়ান গেমস ক্রিকেটের ব্রোঞ্জ নিশ্চিত করল সাইফ হাসানের দল।
বৃষ্টির কারণে, হাঙজুতে মাত্র পাঁচ ওভারে নেমে আসে ম্যাচের লড়াই। তাতে পাকিস্তান দল এক উইকেট হারিয়ে ৪৮ রান তুলে। ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে জিতে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ৬৫ রান। মানে ওভার প্রতি তুলতে হবে ১৩ করে রান।
জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও রানের চাকা সচল থাকে। তারপরও শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার হয় ২০ রান। সেখানে প্রথম চার বল থেকেই দুটি ছক্কা ও দুটি ডাবলের সুবাদে বাংলাদেশ তুলে ১৬ রান। সৌজন্যে ইয়াসির আলী। শেষ দু’বলে যখন চার রান দরকার, ঠিক তখনই সুফিয়ান মুকিমের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান ম্যাচের নায়ক।
এক বলে চার রান দরকার। এই অবস্থায় বাংলাদেশ অসংখ্যবার হেরেছে। তবে, এবার সেই আক্ষেপ রাখেননি রাকিবুল হাসান। ফলে, পদক নিয়েই বাড়ি ফেরার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।