বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই হার ভুলে গেছেন দ্রাবিড়

আর একটা দিন, এরপরই ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলতে নামবে ভারত। আর কোচ হিসেবে নিজের প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে রাহুল দ্রাবিড়ের। এমন এক মুহূর্তের দ্বারপ্রান্তে ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ স্মৃতি ভেসে ওঠে বারবার, কেননা সেই টুর্নামেন্টে দলের অধিনায়ক হিসেবে খেলেছিলেন দ্রাবিড়।

আর একটা দিন, এরপরই ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলতে নামবে ভারত। আর কোচ হিসেবে নিজের প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে রাহুল দ্রাবিড়ের। এমন এক মুহূর্তের দ্বারপ্রান্তে ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ স্মৃতি ভেসে ওঠে বারবার, কেননা সেই টুর্নামেন্টে দলের অধিনায়ক হিসেবে খেলেছিলেন দ্রাবিড়।

কিন্তু সেটা ঠিক সুখ স্মৃতি নয় দ্য ওয়ালের জন্য। বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে অপ্রত্যাশিতভাবে গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়েছিল তাঁর দল। ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে সেটা অন্যতম বেদনা বিধুর ঘটনা হয়ে আছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই হারের পর বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব থেকে বাদ পড়ার পথে হাঁটে ভারত। ভারতকে হারিয়ে নায়ক বনে যান সাকিব-তামিম কিংবা মাশরাফি-মুশফিকরা।

তবে ১৬ বছর পেরিয়ে যাওয়া সেই বিশ্বকাপের কষ্ট ইতোমধ্যে ভুলে গিয়েছেন, এমনটাই দাবি দ্রাবিড়ের। আপাতত নতুন দায়িত্ব পালনেই সব মনোযোগ এই কিংবদন্তির। নিজেদের দর্শকের সামনে টিম ইন্ডিয়াকে শিরোপার দিকে এগিয়ে নেয়াই এখন লক্ষ্য তাঁর।

সাবেক এই ক্রিকেটার অকপটে স্বীকার করেন যে, একজন খেলোয়াড় হলে কেমন লাগে সেটা ভুলে গিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি খেলোয়াড় ছিলাম অনেক দিন হয়ে গিয়েছে। আমি প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম যে আমি আসলে একজন ক্রিকেটার ছিলাম, আপনার সাথে খুব সৎ হয়ে বলছি।’

টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ জানান, ‘আমি সেটা (২০০৭ বিশ্বকাপ) ভুলে এগিয়ে গিয়েছি। আমি এখন আর নিজেকে খেলোয়াড় হিসেবে দেখি না। এখন শুধু দলকে তাঁদের সেরাটা দেয়ার জন্য সাহায্য করতে মনোযোগী।’

তিনি আরো যোগ করেন, ‘দিনশেষে এটাই তো সাপোর্ট স্টাফদের কাজ। অধিনায়কের চিন্তাভাবনাকে সমর্থন করা, তাঁর পরিকল্পনা প্রয়োগ করতে সাহায্য করাটাই কোচের দায়িত্ব। আশা করি আগামী কয়েক মাস আমরা সেটা ভালভাবে করতে পারব।’

রাহুল দ্রাবিড় বাস্তবতা মেনে নিয়েছেন, জানেন কোচদের আসলে কিছু করার থাকে না মাঠে। এই ডানহাতি বলেন, ‘একবার যখন খেলা শুরু হয়ে যায়, তখন আপনার আসলে কিছু করার থাকে না। কোচ হিসেবে আমরা পুরো টুর্নামেন্টে একটা রানও করতে পারি না, একটা উইকেটও নিতে পারি না। আমরা যা করতে পারি সেটা হলো ক্রিকেটারদের সমর্থন করা।’

এখন দেখার বিষয়, বিশ্ব আসরে কোচিংয়ের মুন্সিয়ানা কতটা দেখাতে পারেন তিনি। বাইশ গজে প্রত্যাশা পূরণ করতে হলে, রোহিত শর্মাদের ভাল খেলাই যথেষ্ট নয়, ড্রেসিরুমেও থাকতে হবে কার্যকরী পরিকল্পনা।

আর সেখানেই নিজের ক্রিকেটীয় জ্ঞানের ছাপ রাখাটা জরুরি দ্রাবিড়ের জন্য। তা না হলে খেসারত দিতে হবে পুরো টিম ইন্ডিয়াকে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...