ক্রিকেট পাড়ায় যুগের পর যুগ একটা কথা বেশ প্রচলিত – ভারত ব্যাটসম্যানদের জন্ম দেয় আর পাকিস্তান পেসারদের তীর্থভূমি। আসলেই সত্য, ভারতের ব্যাটিং কিংবদন্তিদের তালিকা করা হলে সেটি নিশ্চিতভাবেই দীর্ঘ হবে অনেক; অন্যদিকে পাক কিংবদন্তিদের তালিকায় শোয়েব আখতার, ওয়াসিম আকরামের মত পেসারদের আধিক্য-ই বেশি।
বর্তমানেও একই ধারা বহমান, সাম্প্রতিক সময়ে রোহিত শর্মাদের মূল শক্তির জায়গা তাঁদের ব্যাটিং লাইনআপ; আর পাকিস্তানের রয়েছে বিশ্বসেরা পেস বোলিং লাইনআপ।
আর এই পার্থক্যের কারণ শচীন টেন্ডুলকারদের লিগ্যাসি – এমনটাই মনে করেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার বাজিদ খান। তাঁর মতে, গত কয়েক বছরে টিম ইন্ডিয়া দারুণ কয়েকজন ব্যাটার পেয়েছে যাদের উঠে আসার পিছনে রয়েছে শচীনের পরোক্ষ অনুপ্রেরণা।
কিন্তু পাকিস্তানে তেমন কেউই নেই বর্তমান প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করার মত। উল্টো ‘বুম বুম’ শহীদ আফ্রিদিকে আদর্শ মানছেন উদীয়মান ব্যাটাররা, যা ক্ষতি করছে পাকিস্তানের।
এই পাক ব্যাটার বলেন, ‘ঐতিহাসিকভাবে ভারত দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান তৈরি করেছে। তাঁদের সুনীল গাভাস্কার, শচীন টেন্ডুলকার রয়েছে; তরুণরা তাঁদের অনুসরণ করে। বিশেষ করে শচীন বড় ভূমিকা পালন করছেন। আমরা এখন যে ব্যাটারদের দেখতে পাচ্ছি সেটি তাঁর কারণেই।’
তিনি আরো যোগ করেন, ‘অথচ পাকিস্তানে শহীদ আফ্রিদি একটি বড় নাম হয়ে উঠেছে এবং আমাদের বেশিরভাগ ব্যাটসম্যান তাকে অনুসরণ করতে শুরু করেছে। যা আমাদের জন্য একরকম ক্ষতিকর।’
এছাড়া ভারতের ভবিষ্যৎ ব্যাটাররা ইতোমধ্যে নিজেদের ‘আইডল’ পেয়ে গিয়েছে বলেই বিশ্বাস ৪২ বছর বয়সী এই ক্রিকেট বিশ্লেষকের। তিনি বলেন, ‘ভারতের পরবর্তী প্রজন্ম বিরাট কোহলিকে অনুসরণ করবে।’
সেক্ষেত্রে অবশ্য পাকিস্তানি ক্রিকেটের নীতিনির্ধারকরা স্বস্তি পেলেও পেতে পারেন। কেননা দেশটির স্কুল কলেজ স্তরের ব্যাটসম্যানদের অনুপ্রাণিত করার জন্য একজন ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছেন – তিনি বাবর আজম।
ওয়ানডে ক্রিকেটের নাম্বার ওয়ান এই ব্যাটারকে গুরু মেনেই হয়তো নতুন এক ব্যাটিং সাম্রাজ্য গড়ে তুলবে পাকিস্তানের কিশোরেরা। বাবর ছাড়াও মোহাম্মদ রিজওয়ান, আবদুল্লাহ শফিকরা পথ দেখাতে পারবেন এই স্বপ্নবাজদের।