সাকিবের ইনজুরি নিয়ে এতো লুকোচুরি কেন?

কিছু প্রশ্ন। বেশ খানিকটা ধোঁয়াশা। সাকিবের চোট কতটা গুরুতর? সাকিব কবে নাগাদ ফিরবেন? প্রায় সমার্থক এমন প্রশ্নের যেন কোনো উত্তর নেই। আর উত্তরহীন প্রশ্নে আরেকটা কৌতূহলোদ্দীপক প্রশ্নের জায়গা তৈরি করে। সাকিবের চোট নিয়ে এতো লুকোচুরি কেন?

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সময় চোট পেয়েছিলেন সাকিব৷ তবে তারপরও ১০ ওভার বোলিং করেছিলেন তিনি৷ তাতেই মনে হয়েছিল, চোটটা তেমন গুরুতর নয়। কিন্তু, সেই ভাবনাটা আশঙ্কায় রূপ নেয়, যখন দেখা গেল ম্যাচ শেষের পর তিনি সোজা ছুটেছেন হাসপাতালে, স্ক্যান করাতে।

এর থেকেই মূলত সাকিব আর চোট নিয়ে শুরু লুকোচুরি লুকোচুরি গল্প। সাকিবের অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও ভারত ম্যাচের পর সাকিবের চোট নিয়ে তেমন নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারলেন না। সেই চিরায়ত সুরেই ‘সেরে উঠছেন’ বলে জানিয়ে মূল ব্যাপারটাই লুকিয়ে রাখলেন। 

অবশ্য বিসিবি থেকেই তো নির্দিষ্ট করে কোনো বিবৃতি আসেনি। বাংলাদেশ দল থেকে শুরুতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুধু জানানো হয়েছিল, সাকিবের কোয়াড্রিসেপ্সে এমআরআই করা হয়েছে। কিন্তু এরপর আর তাঁর চোটের অগ্রগতি নিয়ে খবর আসেনি।

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সাকিব মঙ্গলবার অনুশীলন করেছিলেন। ব্যাটিং সেশনেও ছিলেন। ভারতের বিপক্ষে সাকিব নামবেন, এমন সম্ভাবনাই জোরালো হচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সেই আশার পালে আর হাওয়া লাগেনি। সাকিব থেকে যান সাইড বেঞ্চেই। 

যে ম্যাচে সাকিব চোট পেয়েছিলেন, সেই একই ম্যাচে চোট পান কিউই কাপ্তান কেন উইলিয়ামসনও। এরপরই জানা যায়, প্রায় ৪ সপ্তাহের জন্য তাঁকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে। এমনটাই জানিয়ে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। প্রশ্ন হচ্ছে, একই টুর্নামেন্টে অন্য একটি দলের যেকোনো বিষয় নিয়ে স্বচ্ছতা থাকলে, বাংলাদেশ দলে সেই একই সমস্যা নিয়ে এতো জলঘোলা কেন?

যাহোক, এ দিকে গুঞ্জন উঠেছে, গ্রেড ওয়ান টিয়ারের ইনজুরিতে ভুগছেন সাকিব। ফলত, পরের ম্যাচেও একাদশে না থাকতে পারেন সাকিব। কিন্তু এই আশঙ্কাটাই বা প্রকাশে সমস্যা কোথায়?  পুরো স্ক্যান রিপোর্টটাই যেন হয়ে উঠেছে গোপন এক নথি। যাকে রীতিমত রহস্যের জালে, অনেক গুলো প্রশ্নের মুখে আবৃত রাখা হচ্ছে। 

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link