সুযোগ পেলে কীভাবে তা কাজে লাগাতে হয়, সেটিই যেন দেখালেন মোহাম্মদ শামি। বেঞ্চ থেকে ফিরেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। অথচ, ভারতের প্রথম চার ম্যাচে একাদশে জায়গায় হয়নি অভিজ্ঞ এই পেসারের।
জাসপ্রিত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজকে দিয়েই পেস বোলিং লাইনআপ সাজিয়েছিল ভারত। আর তৃতীয় পেসারের অভাবটা মিটিয়ে দিচ্ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। তাছাড়া জয়ের ধারা অব্যাহত থাকায় উইনিং কম্বিনেশনও ভাঙার প্রয়োজন ছিল না ভারতের।
কিন্তু বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে পান্ডিয়া চোটে পড়ায় ধর্মশালায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে শামির সুযোগ হয় একাদশে। আর সুযোগ পেয়েই নিজের সামর্থ্যের সেরাটা দেখিয়ে দিলেন শামি। ৫৪ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট।
আর তাতেই বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীদের তালিকায় দুই নম্বরে চলে এসেছেন শামি। টপকে গিয়েছেন অনিল কুম্বলেকে। এখন তাঁর সামনে রয়েছেন শুধু দু’জন; জহির খান ও জাভাগাল শ্রীনাথ।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাওয়ারপ্লের অষ্টম ওভারে প্রথম ওভার করতে এসেই দলকে উইল ইয়াংয়ের উইকেট নিয়ে শুরু। এরপর নিজের দ্বিতীয় স্পেলেও আঘাত হানেন শামি। শেষ দিকে দুর্দান্ত ডেথ বোলিংয়ে নেন আরো ৩ উইকেট। আর তাতেই বড় সংগ্রহের পথে এগোতে থাকা নিউজিল্যান্ড আটকে যায় মধ্যম সংগ্রহে।
নতুন বলে দারুণ বোলিং, এরপর ডেথ ওভারেও তার ধারাবাহিকতা রাখা। বল হাতে এতো সফলতা পাওয়ার পরও কেন শামি নিয়মিত একাদশে সুযোগ পান না? নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সেই প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন ভারতের বোলিং কোচ পরশ মামব্রে।
শামি যে টিম কন্ডিশনের কারণেই বাদ পড়েন তা জানিয়ে এই কোচ বলেন, ‘আসলে তাঁকে দলের বাইরে রাখাটা কখনোই সহজ ছিল না। সে নতুন ভাল বল করে, আবার ডেথ ওভারে বোলিং অ্যাক্যুরেসি ঠিক রাখে। তবে আপনাকে বুঝতে হবে, মাঠে কিন্তু আপনি ১১ জনকেই খেলাতে পারেন।’
হার্দিক পান্ডিয়া কবে নাগাদ ফিরবেন তা এখনো অজানা। তবে পান্ডিয়া ফিরলে বাদ পড়তে হবে শামিকেই। সেই কঠিন বাস্তবতাটা শামি নিজেও জানেন। তবে পান্ডিয়া ইনজুরিতে পড়লে, ভারত শিবিরে যে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল, সেই ভাবনাটা অন্তত সরিয়ে দিতে পেরেছেন শামি।
তাই অধিনায়ক রোহিত শর্মার কাছ থেকে মিলেছে প্রশংসা। ম্যাচ শেষে তিনি জানিয়েছেন, ‘শামি সুযোগটা দুই হাতে লুফে নিয়েছে। সে কন্ডিশন খুব ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছে।’
ভারতের এর পরের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। মহা গুরুত্বপূর্ণ সেই ম্যাচে নিশ্চয় আবারো শামির দিকেই তাকিয়ে থাকবে ভারত।