ডিপ ফাইন লেগে বল গেল। মুস্তাফিজুর রহমান হাওয়ায় ভাসা বলটা তালুবন্দী করার চেষ্টা করলেন না। ভীষণ দৃষ্টিকটু এক বিষয় বটে। এমন ঘটনা আরও ঘটেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে। ফিল্ডিংয়ে টাইগারদের নিবেদনের ঘাটতি ভীষণ চোখে লেগেছে।
মুস্তাফিজের সেই ক্যাচ মিস সহ মোট চারটি ক্যাচ ছেড়েছে বাংলাদশের ফিল্ডাররা। এর মধ্যে হয়ত শামীম হোসেন পাটোয়ারির ১৬.৫ ওভারের সময়ের ক্যাচ মিসকে একটু ছাড় দেওয়া যায়। কিন্তু সামগ্রিক চিত্রে তিনিও সমালোচনার পাত্র বটে। ইনিংসের সপ্তম ওভারের পঞ্চম বলে একটা রান আউটের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল।
সোজাসাপ্টা ঠিকঠাক থ্রো করতে পারলেই আউট হয়ে যেতে পারতেন লঙ্কান ব্যাটার কামিল মিশারা। কিন্তু শামীম সেই থ্রো-ও মিস করেছেন। ডাইরেক্ট থ্রোতে আউট করার সামর্থ্য স্রেফ সাকিব আল হাসান ছাড়া আর যেন নেই কারো। গোটা দলের ফিল্ডিংয়ের বেহাল দশা।
এবারের এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ৭টি ক্যাচ মিস করেছে। তাদের উপরে আছে স্রেফ হংকং। ১১ খানা ক্যাচ ফেলেছে আইসিসির সহযোগী দেশের খেলোয়াড়রা। একটা বহুল প্রচলিত প্রবাদ আছে, ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস। বাংলাদেশের ফিল্ডাররা সেই প্রবাদে যে অনুপ্রাণিত নন- সে প্রমাণ মেলে মাঠের লড়াইয়ে।
১৬-১৯ ওভার, এই সময়ে এক একটি ক্যাচ প্রতিপক্ষের রান তোলার গতিকে একেবারে হ্রাস করে দিতে পারে। অথচ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ এই সময়েই ফেলেছে তিন খানা ক্যাচ। শামীমের পর তাওহীদ হৃদয় এদিন ছেড়েছেন দুইটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ। চারিথ আসালাঙ্কা দুই দফা জীবন পেয়েছেন হৃদয়ের কল্যাণে।
এছাড়াও শরিফুল ইসলামরাও গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ে বাউন্ডারি আটকাতে হিমশিম খেয়েছেন। এশিয়া কাপের সুপার ফোরের মত গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে এই ধরণে ফিল্ডিং মিস- দলকে বিপাকে ফেলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। ঠিক এই জায়গা বাংলাদেশের জয়-পরাজয়ের ব্যবধান কোন কোন ম্যাচে লেখা হয়ে যায়।
দলের ভাল ফিল্ডার যাদের বিবেচনা করা হয়, তারাই দিনশেষে দলকে হতাশায় ডোবায়। শামীম-হৃদয়দের উপর ফিল্ডিংয়েও চমকপ্রদ কিছু করে দেখানোর প্রত্যাশা থাকে। কিন্তু কোথাও একটা ফারাক থেকে যায় দিনশেষে। ক্যাচ মিস, বাজে ফিল্ডিংয়ের খেসারত বাংলাদেশকে দিতে হয়- দিনশেষে ম্যাচ হেরে।