রাওয়ালপিন্ডিতে লেখা হয়ে গেল ইতিহাস। পাকিস্তানকে তাদেরই ঘরের মাঠে পরাজয়ের সবচেয়ে তিক্ত স্বাদ উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে যেই পাকিস্তানকে কখনোই হারাতে পারেনি বাংলাদেশ, সেই পাকিস্তানকে টানা দুই টেস্ট ম্যাচে হারিয়ে দিয়েছে টাইগাররা। দ্বিতীয় টেস্টে রেকর্ড গড়া রান তাড়া করে জিতেছে বাংলাদেশ।
১৮৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা টপকে গেছেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। এখন অবধি বাংলাদেশের রান তাড়া করে জয় পাওয়া ম্যাচগুলোর মধ্যে এটি রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে। তবে সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় সম্ভবত অন্যটি। এখন অবধি নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের তিনটি সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ই এসেছে বিদেশের মাটিতে।
বাংলাদেশ দল টেস্ট ক্রিকেটে বরাবরই নড়বড়ে এক দল। প্রায় দুই যুগের টেস্ট যাত্রায় ঐতিহাসিক জয় এসেছে খুব সামান্যই। বিদেশের মাটিতে গিয়ে সিরিজ জেতার নজিরও খুব একটা নেই। সেই বাংলাদেশ দল পাকিস্তানকে ধরাশায়ী করেছে। হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবিয়েছে দলটিকে।
এর আগে বিদেশের মাটিতে প্রথম ম্যাচ জয়ের ঘটনা ঘটেছিল ২০০৯ সালে। সেবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদেরই ঘরের মাঠে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ক্যারিবিয়ানরা ২১৫ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয় বাংলাদেশকে। সেই ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতেছিল চার উইকেট ব্যবধানে। সেটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতা ম্যাচ।
এরপর ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশকে দিয়েছিল ১৯১ রানের টার্গেট। কলম্বোর সে ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতেছিল ৪ উইকেট হাতে রেখেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে সিরিজ জিতলেও, শ্রীলঙ্কার সাথে সিরিজ ড্র করেছিল বাংলাদেশ। অর্থাৎ প্রায় ১৫ বছর বাদে, শক্তিশালী কোন দলের বিপক্ষে তাদেরই ঘরের মাঠে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের সাথে সিরিজ জয়, অন্য যেকোন দিক বিবেচনায় বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়। এই পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পেতে বহুকাল ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছে টাইগারদের। ২০০৩ সালের মুলতানের দুঃখ বয়ে বেড়াতে হয়েছে দীর্ঘদিন। সেই অপেক্ষা শেষটা হল মধুরতায়। ঘরের মাঠে হোয়াইট ওয়াশের লজ্জায় পুড়েছে পাকিস্তান।