প্রত্যাবর্তনের শুভ সূচনাকে দীর্ঘায়িত করতে ব্যর্থ হয়েছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমির এবং বাংলাদেশের মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। উভয়ের প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে সমর্থকদের মনে জেগেছিল আশা। তবে সেই আশাকে নিরাশাতেই পরিণত করছেন দুই দেশের দুই খেলোয়াড়।
সম্প্রতি নিউজিল্যান্ড সিরিজের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের হয়ে পুনরায় প্রত্যাবর্তন করেন মোহাম্মদ আমির। আমিরের সেই পুরনো ফর্ম ক্রিকেট ভক্তদের মনে জাগিয়েছিল আশার সঞ্চার। তবে নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে শুরু করে আয়ারল্যান্ড সিরিজ, এই পর্যন্ত মোট চারটি ম্যাচ খেলেও আহামরি কিছু করতে পারেননি এই বাঁ হাতি।
বরং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে তিনি ছিলেন বেশ খরুচে। ৪ ওভারে ১১ ইকোনমিতে খরচ করেছেন ৪৪ রান আর নিয়েছেন মাত্র ১ টি উইকেট। অপর দিকে, সাইফউদ্দিননকে ঘিরেও প্রত্যাশার বালু চর জেগেছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট মহলে।
তবে সাইফউদ্দীন সেই প্রত্যাশার চরকে ডুবিয়েছেন তাঁর খরুচে বোলিং দিয়ে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে করেছিলেন তুলনামূলক ভালো পারফর্ম্যান্স। ১৫ রান খরচ করে তুলে নেন ৩ টি উইকেট। তবে সেই পর্যন্তই তাঁর প্রত্যাবর্তনের গল্প।
বাকি তিন ম্যাচে প্রতিপক্ষকে রান বিলিয়ে দিতে ছিলেন ভীষণ উদার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৩.৭৫ ইকোনমিতে দেন ৫৫ রান। আর উইকেট শিকার করেন মাত্র ১ টি।
ক্যারিয়ারই শুরুর দিকে উভয়েই করেছিলেন উড়ন্ত সূচনা। তবে পথিমধ্য অপ্রত্যাশিত এক ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় তাঁদের আগের ফর্ম। হঠাৎ দল থেকে ছিটকে যায় ভিন্ন দেশের ভিন্ন দুই সম্ভাবনাময় নক্ষত্র। আর সাম্প্রতিক সময়ে উভয়ের ক্যারিয়ারই ইনজুরি, আলোচনা আর সমালোচনায় পরিপূর্ণ। প্রত্যাশার পাহাড়ের চূড়ায় উঠেও যেন পিছলে যাচ্ছেন এই দুই পেসার।
পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশ কেউই এখনো নিশ্চিত করেনি তাঁদের আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল। আর আমির এবং সাইফউদ্দিনকে ঘিরে যথাক্রমে পাকিস্তান আর বাংলাদেশের ছিল বাড়তি প্রত্যাশা। তবে তাঁদের সাম্প্রতিক পারফর্ম্যান্স হতাশা ছাড়া আর কিছুই দেয়নি ভক্তদের মনে। তাই তো বলাই যায়, আমির আর সাইফউদ্দিন এখন একে অপরের প্রতিচ্ছবি।