কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকা-ভারত মধ্যকার টেস্ট দিয়ে ইতিহাসের সংক্ষিপ্ততম টেস্ট ম্যাচ দেখেছে ক্রিকেটবিশ্ব। পুরো ম্যাচে বল গড়িয়েছে মাত্র ১০৭ ওভার। স্পিনাররা যেখানে করেননি ১টি বলও। আর তাতে মাত্র দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনেই চলে আসে ম্যাচের ফল। ৭ উইকেটের জয় পায় ভারত।
এরপর থেকেই কেপটাউন পিচের কড়া সমালোচনা করছেন সাবেক ক্রিকেটাররা। মাত্র দেড় দিনে টেস্ট শেষ হওয়া নিয়ে অবাক বনে গিয়েছেন সাবেক প্রোটিয়া ক্রিকেটার এ বি ডি ভিলিয়ার্সও। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে কেপটাউন টেস্ট নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মতে এটি অনেক অবাক করার মত উইকেট ছিল। উইকেটে প্রথম দিন থেকেই বল স্কিড করেছে। প্রথম দিনে যদি আপনি প্রথম সেশনটা পার করে দিতে পারেন তাহলে ব্যাট করা সহজ হয়ে যায়। যদি দেখেন যে ক্রিকেটাররা বসে না থেকে তাদের মন মত শট খেলছে তাহলে মনে করবেন তারা ঠিক আছে। আমার মনে আছে বেন স্টোকস এখানে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিল। আমারও সেখানে কয়েকটি সেঞ্চুরি আছে।’
কেপটাউনে পেসারদের রাজত্ব করা নিয়ে ডি ভিলিয়ার্স আরো বলেন, ‘সবাই অফস্ট্যাম্পে টানা বল করে গিয়েছে। আপনি ভারনান ফিল্যান্ডার, জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ, কাগিসো রাবাদাদের মত বোলারদের ক্রমাগত অফ স্টাম্পে বল করার সুযোগ দিয়ে যেতে পারেন না।’
এ ছাড়া টেস্ট ক্রিকেটের এমন অবস্থার জন্য যে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দায় আছে তা জানিয়ে সাবেক এ ক্রিকেটার বলেন, টেস্ট ক্রিকেটের এই অধঃপতনের কারণ হিসেবে বিশ্বব্যাপী টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটকে দায়ী করা যেতেই পারে। হয়তো অন্য কিছুও হতে পারে। কিন্তু সত্যিই আমি জানিনা এর পিছনের কারণ কোনটি।’
কদিন পরেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আবারও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে প্রোটিয়ারা। যদিও এই সিরিজের জন্য আনকোরা দল ঘোষণা করেছে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা। কারণ এই সময়ে চলবে সাউথ আফ্রিকার ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এসএ টোয়েন্টি।
এই টুর্নামেন্টে নিজেদের সেরা ক্রিকেটারদের পেতেই এমন দল সাজিয়েছে তারা। কিউইদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ৬জন একেবারে নতুন ক্রিকেটারকে নিয়ে দল ঘোষণা করা হয়েছে। অধিনায়ক করা হয়েছে নিল ব্র্যান্ডকে। যার এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকই হয়নি।
এর পেছনে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের দায় দেখছেন ভিলিয়ার্স। তিনি বলেন, ‘পুরো বিশ্বব্যাপী এখন টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ হচ্ছে। সেখানে অর্থও বেশি। তাই ক্রিকেটের সিস্টেমটাও কেন জানিনা টি-টোয়েন্টিতেই নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। বলতে দ্বিধা নেই টেস্ট ক্রিকেটের জন্য আগামীতে ভীষণ কঠিন পরিস্থিতি আসতে চলেছে।’