টাইগার বোলারদের কাছে নাস্তানাবুদ ভারতীয় যুবারা

উড়ন্ত এই বাংলাদেশের যাত্রা ফাইনাল অবধি যাবে নাকি সেমির মঞ্চ থেকেই হবে বিদায়? এমন একটা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চোখ দুবাইয়ের সেমিতে। ফাইনালে ওঠার এ ম্যাচের শুরুটা বাংলাদেশই নিজেদের অক্ষে রেখেছে। দুবাইয়ে ধুঁকেছে ভারত, উড়েছে বাংলাদেশ যুবারা। টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে ভারতকে ১৮৮ রানেই আটকে দিয়েছে বাংলাদেশ। 

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারত। শুধু তাই নয়, বয়সভিত্তিক এ টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৮ বার শিরোপা উঠেছে তাদেরই হাতে। ইতিহাস কিংবা পরিসংখ্যান, দু’টোই যখন তাদের সঙ্গী, তখন এবারের যুব এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে আন্ডারডগ হিসেবে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। অবশ্য গ্রুপ পর্বে অপরাজেয় যুবারা এবারের আসরে রীতিমত উড়ছিলই বটে।

উড়ন্ত এই বাংলাদেশের যাত্রা ফাইনাল অবধি যাবে নাকি সেমির মঞ্চ থেকেই হবে বিদায়? এমন একটা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চোখ দুবাইয়ের সেমিতে। ফাইনালে ওঠার এ ম্যাচের শুরুটা বাংলাদেশই নিজেদের অক্ষে রেখেছে। দুবাইয়ে ধুঁকেছে ভারত, উড়েছে বাংলাদেশ যুবারা। টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে ভারতকে ১৮৮ রানেই আটকে দিয়েছে বাংলাদেশ।

বোলিং ইনিংসে শুরুর নায়ক কিংবা ইনিংসের সেরা বোলার, দুটোই মারুফ মৃধা। ফাইফার পাওয়ার দৌড়ে ছিলেন। তবে থেমেছেন ৪১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে। ইনিংসের শুরুর তিন উইকেট নিয়ে ভারতের ইনিংসে প্রথম ধাক্কাটা দিয়েছিলেন তিনিই। অবশ্য এ দিন মারুফের বোলিংয়ের শুরুটাই হয়েছিল ওয়াইড দিয়ে। এরপরের বলে আবার প্রতিপক্ষের ব্যাটারের কাছে হজম করেন জোড়া রান।

 

তবে এলোমেলো বোলিংয়ে শুরু করলেও সকালের শিশিরভেজা উইকেটের ফায়দা তুলে ফিরে আসেন নিজের প্রথম ওভারেই। দুর্দান্ত এক ইনসুইংয়ে পরাস্ত করেন ওপেনার আদার্শ সিংকে। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ব্যক্তিগত ২ রানে ফিরে যান এ ওপেনার। ভারতের ইনিংসে মারুফের ধ্বংসযজ্ঞ শুরু সেখান থেকেই। 

নিজের পরের ওভারেই ভারতীয় শিবিরে আবারো আঘাত হানেন মারুফ মৃধা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলটি লেগ স্ট্যাম্পের উপর ফুল লেন্থে করেছিলেন মারুফ। সেই বলটিই ফ্লিক করতে গিয়ে ডিপ ফাইন লেগে ধরা পড়েন আর্শিন কুলকার্নি।

অধিনায়ক উদয় শাহারন ক্রিজে এসে প্রাথমিক বিপদ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তবে মারুফের পেসের সামনে তিনিও অসহায় বনে যান। রক্ষাণত্বক ভঙ্গিতে ইনিংসের শুরু করেছিলেন। তবে ১০ বলে রানের খাতা খোলার আগেই তিনি ফিরে যান। ইনিংসের ৭ম ওভারে মারুফের করা খাটো লেন্থের বল দাঁড়িয়ে খোঁচা মেরে খেলতে গিয়ে স্লিপে ধরা পড়েন উদয়।

এরপর দলের হাল ধরান চেষ্টা করেছিলেন প্রিয়ানসু মলিয়া ও শচিন দাস। তবে এ দিন টাইগার পেসারদের তোপে এ জুটিও তেমন প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। এ দুই ব্যাটারের ২৩ রানের জুটি ভেঙে দেন রোহানাত দৌল্লা বর্ষণ। ৩৬ রানে ৪ উইকেট হারানো ভারত পরের ২৫ রানে হারায় আরো ২ উইকেট হারায়। ততক্ষণে ১০০ রানে গুঁটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে যায় টিম ইন্ডিয়ার ইনিংস।

তবে সেখান থেকে প্রতিরোধ গড়েন মুশির খান ও মুরুগান অভিষেক। সপ্তম উইকেট জুটিতে এই দুইজন মিলে যোগ করেন ৮৪ রান। আর এই জুটিতেই ২০০ পেরোনো সংগ্রহের পথে এগিয়েছিল ভারত। কিন্তু মুশির ৫০ রান করে আউট হলে বেশিক্ষণ টিকেনি ভারতের ইনিংস।

যদিও মুশিরের পর পঞ্চাশ পেরিয়েছিলেন অভিষেকও। কিন্তু ৬২ রানে এ ব্যাটার ফিরে যাওয়ার পর আর কেউ ইনিংসকে টেনে নিয়ে যেতে পারেনি। ফলত, নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪৪ বল বাকি থাকতেই ১৮৮ রানে অলআউট হয় ভারত।

 

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...